এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় >   বাংলাকে পাখির চোখ করা বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত – জানুন বিস্তারিত

  বাংলাকে পাখির চোখ করা বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত – জানুন বিস্তারিত


বঙ্গে পদ্ম ফোটার আশায় যখন দিন গুনছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা, ঠিক তখনই এই রাজ্যে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভা নিয়ে বারবার দিন পিছোতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। এতদিন পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে 28 শে জানুয়ারি শিলিগুড়ি, 31 শে জানুয়ারি ঠাকুরনগর এবং 8 ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদীর সভা করার কথা ছিল।

কিন্তু গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সমস্ত সভার দিনক্ষণ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু কেন এই ভাবে লাগাতার প্রথমে সভার জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেও পরে তা থেকে পিছিয়ে আসছে গেরুয়া শিবির? জানা গেছে, আগামী 28 শে জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনার ঠাকুরনগর, 2 ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি এবং 8 ই ফেব্রুয়ারি আসানসোলে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি বদলের প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের সন্দেহ রয়েছে যে এত কম সময় ব্রিগেড ভরানো যাবে কিনা! তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।” এদিকে শুধু প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সভাই নয়, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভাতেও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে টানা 3 দিন রাজ্যের পাঁচটি জায়গায় অমিত শাহর সভা করার কথা থাকলেও মঙ্গলবার মালদহে সভা করে বুধবার শুধুমাত্র ঝাড়গ্রামে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি।

অন্যদিকে বীরভূমের সিউড়িতে সভা করার কথা থাকলেও তা বাতিল করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। পাশাপাশি অমিত শাহর সভার তালিকা থেকে বাদ যাওয়া জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে সেই অমিত শাহর বদলে সেখানে আসবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর এখানেই অনেকটাই তিতিবিরক্ত বঙ্গের বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা। কারণ যে মোদি-শাহ জুটি এখন বঙ্গের পদ্মের জোয়ার আনতে সব থেকে বেশি করে চাইছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা, সেই মোদি- শাহ জুটি বারবার এই রাজ্যে সমাবেশে না করে দেওয়ায় তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে পদ্ম শিবিরে।

তবে কর্মীদের ক্ষোভকে কিছুটা প্রশমন করতে গতকাল সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যের চারটি জায়গায় নরেন্দ্র মোদি এবং চারটি জায়গায় অমিত শাহকে দিয়ে সভা করানো হবে। আর এই আটটি লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও বাকি 34 টি জায়গায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হাজির করার চিন্তা ভাবনা করছে গেরুয়া শিবির।

কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, হঠাৎ করে 8 ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের দিন বাতিল হয়ে যাওয়ায় চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পদ্ম শিবিরের অনেক কর্মীর মধ্যেই। তবে এই ব্যাপারে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশ হবেই। সেখানে আমরা তৃনমূলের থেকে দ্বিগুণ লোক আনব। কিন্তু এখন বিশেষ কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।” তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক কবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিগেড সমাবেশ হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!