বিজেপির সমর্থনে প্রধান নির্বাচন করে দলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের রোষের মুখে তৃণমূল বিধায়ক রাজ্য হাওড়া-হুগলি August 30, 2018 বিজেপি সদস্যদের সমর্থনে পঞ্চায়েত প্রধানের পদে নির্বাচিত হলেন এক তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী জেলার বলাগড়ের ডুমুরদহ-নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনার ফলে স্বভাবতই এই এলাকায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৫ টি আসন বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় দলই ৬ টি করে আসনে জয়লাভ করে। অবশিষ্ট ৩ আসনের মধ্যে একটি আসন লাভ করে বাম শিবির এবং ২টি আসনে জয় পায় নির্দল প্রার্থীরা। এই পঞ্চায়েত তাদের দখলেই থাকবে চিন্তা করে তৃণমূল কংগ্রেস দলের জয়ী সদস্য এবং এলাকার নেতাদের সম্মিলিত বৈঠকে স্থির হয় দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে প্রধান পদে সঞ্জীব দাস এবং উপপ্রধান পদে পূর্ণিমা সোরেনকে বসানো হবে। দুই নির্দল প্রার্থী তাদের সমর্থন করার ক্ষেত্রেও সম্মত হন। সেই মত ১৫ আসনের পঞ্চায়েতে ৮টি আসনের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই পরিকল্পনা ছিলো। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু সব হিসেবে কার্যত উলটে দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান পদের নির্বাচনের দিন রথীন দাস নামক জনৈক তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য বিজেপির সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হয়ে যান। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই ভাঁজ ফেলে দেয় রাজ্যের শাসক দলের ঐ পঞ্চায়েত সদস্যদের কপালে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসীম মাঝির ঘনিষ্ঠ লোক। তাই ঐ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের একাংশের অভিযোগ অনুসারে বিধায়কের মদতেই বিজেপির সাথে সমঝোতা করেছেন রথীন দাস।রথীন দাসের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। অবশ্য এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অসম্মত স্থানীয় বিধায়ক। আপনার মতামত জানান -