এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপিনেত্রীকে অশ্লীল আক্রমণে সমালোচনার ঝড়, ভাবমূর্তি বাঁচাতে দায় ঝাড়া শুরু শীর্ষনেতৃত্বের?

বিজেপিনেত্রীকে অশ্লীল আক্রমণে সমালোচনার ঝড়, ভাবমূর্তি বাঁচাতে দায় ঝাড়া শুরু শীর্ষনেতৃত্বের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতি মানেই কুকথার আদান-প্রদান। সময়ের সাথে সাথে এই কুকথার পরিমাণ বা অবমাননাকর মন্তব্য রাজনীতির অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। একে অপরকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রায়শই রাজনৈতিক নেতারা এমন মন্তব্য করছেন, যাতে লজ্জায় পড়তে হচ্ছে সেই দলকে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করা রাজনীতির অন্য একটি অংশ। কিন্তু এই আক্রমণের নীতি বজায় রাখতে গিয়ে কাউকে মাত্রাতিরিক্ত কটাক্ষ করা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেই মনে করা হয়।

কিন্তু বর্তমান রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে, লড়াইয়ের অন্যতম আঙ্গিক হিসাবে উঠে আসছে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের বদলে নানা ধরনের কুকথা। সম্প্রতি কংগ্রেস দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা কমলনাথ বিজেপি প্রার্থী ইমারতী দেবীকে ‘আইটেম’ বলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণ রাজনৈতিক নেতার এহেন মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে কংগ্রেস শিবিরকে। কমলনাথের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। এবং শুধুমাত্র কমলনাথকে নিয়ে নয়, সমালোচনা চলছে খুব স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসকে নিয়েও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এবার কংগ্রেসের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে রাহুল গান্ধী সরাসরি সমালোচনা করলেন কমলনাথের এবং জানালেন, এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী জানান, কমলনাথ কংগ্রেস শিবিরের অন্যতম নেতা। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে রাহুল গান্ধী যে মোটেই এ ধরনের ন্যক্কারজনক মন্তব্য পছন্দ করেন না, সে কথা জানান তিনি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ইতিমধ্যেই কমলনাথের মন্তব্যের প্রতিবাদে মৌন মিছিল করেছেন।

এমনকি কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীর কাছে বিজেপি প্রার্থী ইমারতি দেবী নিজেই চিঠি লিখেছেন। অভিযোগ জানিয়ে ইমারতি দেবী বিচার চেয়েছেন। প্রসঙ্গত গত মার্চে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ইমারতি দেবী। রবিবার ডাবরায় উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বিরোধী শিবিরের ইমারতি দেবীকে হঠাৎ করেই আক্রমণ করে বসেন। প্রকাশ্যে তাঁকে আইটেম বলে সম্বোধন করেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তীব্রতর রাজনৈতিক বিতর্ক।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধী যেভাবে দলীয় ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ রাখতে নিজের আপত্তি জানিয়েছেন তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতি করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিপক্ষকে করতে হয় একথা ঠিকই। কিন্তু সেই আক্রমণ যদি শালীনতার সীমা লংঘন করে, তাহলে তা কোনোভাবেই সুশীল সমাজ মেনে নেবে না। তাই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এ কথাগুলি স্পষ্টভাবে মাথায় রাখা উচিত। তবে রাজনৈতিক সমালোচকদের মতে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ প্রচারে আসতেই এহেন বিতর্কও তৈরি করলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!