এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির প্রবল হাওয়া রুখে এই আসনে জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী বামফ্রন্ট-তৃণমূল দুই শিবিরই

বিজেপির প্রবল হাওয়া রুখে এই আসনে জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী বামফ্রন্ট-তৃণমূল দুই শিবিরই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত লোকসভা নির্বাচনের সময় গোটা উত্তরবঙ্গে বিজেপির প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মত। যেখানে অনেক তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে পদ্মফুল ফুটিয়ে নিয়েছিল বিজেপি‌। দক্ষিণ দিনাজপুরের মত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিকে জয়লাভ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তারা অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন।

তাই এবার হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে পেছনে ফেলে জয়লাভ করতে একদিকে যেমন উদ্যোগী বামফ্রন্ট, ঠিক তেমনই উদ্যত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাংশ বলছেন, 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস এই হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল। যেখানে বিধায়ক হয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র। কিন্তু 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এখানে ভালো ফল করতে পারেনি। যেখানে জয়লাভ করেন বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।

তবে লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য সারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, এই হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, এই কেন্দ্র পুনর্বার নিজেদের দখলে আনতে। অন্যদিকে গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর এবার তারাও নিজেদের শক্তি স্থাপন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিতে এই হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বাম এবং তৃণমূলের মধ্যে প্রধান লড়াই হবে বলে মনে করছেন একাংশ।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের সরকারের আমলে বহু কর্মসূচি এবং প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে বুনিয়াদপুর সার্কিট হাউস থেকে শুরু করে দমকল কেন্দ্র, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সহ রাস্তা, পানীয় জলের কথা তুলে ধরে প্রচার করতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন বিজেপিকে কটাক্ষ করছেন তারা, ঠিক তেমনই গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকে জয়লাভ করা রফিকুল ইসলাম কি কি কাজ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দিতে দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের।

ইতিমধ্যেই হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্র দখল করতে বামফ্রন্ট বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে শুরু হয়েছে জোর প্রতিযোগিতা। বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, গত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে এখানে বিজেপি পিছিয়ে ছিল, সেই একই ঘটনা যেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হয়, তাহলে তাদের লড়াই করতে অনেকটাই সুবিধা হয়। কিন্তু বিজেপি কোনোমতেই জায়গা ছাড়তে নারাজ। তাই এখন থেকে তারাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। যার ফলে এই হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কে শেষ হাসি হাসবে, তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা ঊর্ধ্বমুখী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হরিরামপুরের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি বিরোধী দলে থেকেও বিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট কাজ করেছি। 60 লক্ষ টাকা দিয়ে তিনটি হাইমাস্ট আলো বসিয়েছি। তিনটি বড় রাস্তা বানিয়েছি। এলাকার পানীয় জল পরিষেবার উন্নতি করেছি।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী বলেন, “বেকারত্ব সমস্যা ঘরে ঘরে। কাটমানির বহু অভিযোগ রয়েছে। এই সরকারের আমলে কিছু নতুন ভবন ছাড়া আর কিছুই হয়নি।” এদিকে বিরোধীদের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, “হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যা উন্নয়ন হয়েছে, সব আমার আমলেই। লোকসভা নির্বাচনের ফল এবং আমার আমলের উন্নয়নমূলক কাজকে হাতিয়ার করেই এবার লড়াই হবে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার এই কেন্দ্রের লড়াই ক্রমশ জমে উঠবে। বিজেপিকে ঠেকাতে যেমন বাম এবং তৃনমূল উদ্যোগী, ঠিক তেমনই তৃনমূল এবং বামেদের মধ্যেও জোরদার টক্কর হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কে শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!