এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিলেন মমতা, প্রবল চর্চা গেরুয়া শিবিরে!

বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিলেন মমতা, প্রবল চর্চা গেরুয়া শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভারতীয় জনতা পার্টি বরাবরই সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী দল। এই বিষয়ে সন্দেহ নেই কোনো রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিজেপির ভেতরে নিজেদের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নেতাদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হয়। যাতে করে রাজনৈতিক লড়াইয়ে দৃঢ় ভাবে দলের কার্যকর্তারা নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিগত দিনে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বগন রাজ্য নেতৃত্বদের, আর রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বদের সশরীরে শিবির গঠন করে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করতেন।

কিন্তু করোনা আবহে দূরত্ববিধির কারণে অনলাইনেই চলছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো। আর এবারবঙ্গ বিজেপির এমনই এক অনলাইন প্রশিক্ষণ শিবিরে দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একটি আইডি যুক্ত হওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গেরুয়া কার্যকর্তাদের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, খোঁজ করে দেখা যায়, অনলাইন সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের মধ্যে অনেক অতিরিক্ত মানুষের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছে “জয়বাংলা” নামে একটি অ্যাকাউন্টও। যার জেরে পদ্ম শিবিরের নেতৃত্বদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়, তাদের এই অভ্যন্তরীণ বৈঠকে গোপন ভাবে নজর রাখছে বাংলায় তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

আর এরপরই দলের অভ্যন্তরে শুরু হয় তদন্ত। কারণ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে করা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার বিভিন্ন রকমের কৌশল দলীয় কার্যকর্তাদের বলা হয়ে থাকে। আর তা যদি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল জানতেই পেরে যায়, তাহলে সেই রণকৌশল ব্যর্থ হয়ে পড়বে। তাই বিজেপির তরফ থেকে এখন দেখার বিষয়, কিভাবে গোপনে বৈঠকের আইডি প্রকাশ্যে চলে এল।

তবে শুধু প্রকাশ্যে আসাই নয়, রীতিমত প্রতিপক্ষের শিবিরে পৌঁছে গিয়ে তাদেরকেও উপস্থিত করে ছাড়ল এই বৈঠকে। অনুমান করা হচ্ছে, সরাসরিভাবে দলের এই বৈঠকে আমন্ত্রিত কোনো সদস্যই এই ধরনের কার্যে মদত দিয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত নেতারা এই বিষয়ে মুখ না খুললেও, আগামী দিনে দলের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শত্রুর সেই সমস্ত অনুচর চিহ্নিত করা ভারতীয় জনতা পার্টির আশু কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আগামীতে এই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় বিজেপি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!