এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার বাঙালির পুজোর দিকেও নজর গেরুয়া শিবিরের, রাজ্যের নেতার কথায় জল্পনা

এবার বাঙালির পুজোর দিকেও নজর গেরুয়া শিবিরের, রাজ্যের নেতার কথায় জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনের পর বাঙালির রাজনীতিতে গেরুয়া রঙের ছোঁয়া লেগেছে। আর এবার বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাতেও সবুজের বদলে লাগতে চলেছে গেরুয়া রঙ। বস্তুত, এতদিন কোলকাতার নামিদামি পুজোগুলির মাথায় থাকতে দেখা যেত তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের।

তবে চুপিসারে বেশ কিছু বড় পুজো কমিটির কর্তারা তাদের রাজনৈতিক আনুগত্য বদলে ফেলার চেষ্টা শুরু করছেন। যেমন রাজনৈতিক উত্থান পতন ঘটলেও দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা উদয়ন, অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সংঘ, ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী এবং দেবাশীষ কুমারের ত্রিধারা সম্মিলনী তাদের দখলেই রয়েছে।

বামেরা থাকার সময় এই সমস্ত পুজো মণ্ডপের দায়িত্বের মাথায় তারা সেই ভাবে আসতে পারেনি। কারণ এখানে একটি দক্ষিণপন্থী ভাবধারার জন্ম নিয়েছিল। আর এবার রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদল হওয়ার সাথে সাথে সেই দুর্গাপুজোয় উদ্যোগী হতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, বিধান নগরের যে চারটি বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে, তার মধ্যে এবার বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের পুজো মন্ডপে গেরুয়া রঙের ছোঁয়া লাগার সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, কলকাতার উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ অংশের বেশকিছু পুজো কমিটিকে নিজেদের আওতাধীনে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি। যার মধ্যে খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক কালীঘাট থেকে বড়সড় সাড়া এসেছে গেরুয়া শিবিরের কাছে বলেই জানা গেছে।

সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়ার পুজো হিসেবে পরিচিত রাসবিহারী এলাকার খুব নামী একটি পুজো কমিটির সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের কথাবার্তা শুরু হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই পুজো কমিটিগুলো বিজেপির দিকে ঝুঁকতে আগ্রহী হচ্ছে! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলছেন, গত বছরই কলকাতার নামী দামী চল্লিশটা পুজো কমিটিকে আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ফলে সেই পুজো কমিটিগুলো বড়সড় বিপাকে পড়তে পারে বলে আন্দাজ করে এবার তারা বিজেপির দিকে যুক্ত হতে চাইছে। তবে শুধু নিজেদের দখলে সেই পুজো কমিটিগুলোকে নেওয়াই নয়, এবার শহরের নামীদামি পুজো উদ্বোধনেও গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট মুখ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

যেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়, বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর মত ব্যক্তিত্বের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কি এবার বিজেপি তাদের রক্তচক্ষু দেখিয়ে তৃণমূলের দখলে থাকা এই পুজো কমিটিগুলোকে নিজেদের দখলে আনতে চাইছে!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “ভয় দেখিয়েই যদি পুজোর দখল নেওয়ার হত, তাহলে কলকাতার সব বড় পুজোরই দখল করে নিতে পারতাম। আমাদের সেরকম কোনো উদ্দেশ্য নেই। যারা নিজে থেকে এসে যোগাযোগ করছেন সাহায্য চেয়েছেন, আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।”

ঠিক কতগুলো পুজো কমিটি তাদের সাথে থাকছে! এদিন এই এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেন, “কলকাতার নামী পুজো কমিটি গুলোর মধ্যে 10 থেকে 15 টা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ওরা ঠিক কী চান এবং তা আমাদের পক্ষে সম্ভব কিনা, আমরা তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি।” সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বদল ঘটার সাথে সাথে পুজো মণ্ডপগুলিতেও সবুজের বদলে গেরুয়া রঙের ছোঁয়া লাগতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!