এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মেটিয়াবুরুজে আরএসএস কর্মীকে গুলিকাণ্ডে লোকসভায় ঝড় তুলে দিলেন 3 বিজেপি সাংসদ

মেটিয়াবুরুজে আরএসএস কর্মীকে গুলিকাণ্ডে লোকসভায় ঝড় তুলে দিলেন 3 বিজেপি সাংসদ


বিগত লোকসভায় রাজ্যে বিজেপি কিছুটা সাফল্য পাওয়ার পর থেকেই বিজেপি বনাম তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঘর্ষ লক্ষ্য করা যায়। দিকে দিকে বিভিন্ন ঘটনায় মূল লড়াই শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। আর বিরোধী দল হিসেবে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যায় বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। কখনও মুকুল রায়, কখনও দিলীপ ঘোষ, আবার কখনও বা রাহুল সিনহা প্রত্যেকেই দাবি করেন, বাংলায় পুলিশরাজ চলছে। বাংলার গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত।

বিরোধীদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। তবে বিজেপি এই দাবি করলেও সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে তাদের ব্যাপক ধাক্কা খেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। যেখানে লোকসভায় দুটি সিটে জিতে থাকলেও বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে রাজ্যের বিরোধীদলের জায়গা থেকে ক্রমশ বিজেপি সরে যাচ্ছে বলে মনে করেছিল একাংশ।

কিন্তু তারা যে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, তা ফের প্রমাণ করে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলার আইন শৃঙ্খলা এবং গণতন্ত্র নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়ে সংসদে সরব হলেন 3 বিজেপি সাংসদ। যা রাজ্যের শাসক দল বনাম কেন্দ্রের শাসকদলের তরজাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, সম্প্রতি মেটিয়াবুরুজে গুলিবিদ্ধ হন আরএসএসের স্বয়ংসেবক বীরবাহাদুর সিং।

আর এরপরই এর বিরুদ্ধে শাসকের বিপক্ষে আওয়াজ তুলে সরব হতে দেখা যায় বিজেপি নেতাদের। বাংলায় হিন্দু এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি হাসপাতালে সেই বীরবাহাদুর সিংকে দেখে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহংকারের পতন হবে বলে জানিয়ে দেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার রাজ্যে আরএসএসের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সংসদে তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপির তিন সাংসদ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সংসদে জিরো আওয়ারে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং এবং দার্জিলিংয়ের রাজু বিস্ত এই কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, “বাংলায় পুলিশরাজ চলছে। আমাদের কর্মীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে।”

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হলেও পাল্টা এই ব্যাপারে নিজেদের যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করবার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনীতি করছে। সাধারন একটি ঘটনাকে তাঁরা বড় আকার দিতে চাইছে। রাজ্যে তৃণমূলের কর্মীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অধিকাংশ জায়গাতেই বিজেপির নেতৃত্বে হামলা চালানো হচ্ছে।

তাই সেই ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপির এই পরিকল্পনা। পাশাপাশি বীরবাহাদুর সিংয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইন মোতাবেক ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি শাসকবর্গের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি পর্যদুস্ত হওয়ায় তারা হয়ত শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে বলে মনে করেছিল একাংশ।

কিন্তু তা না করে যেভাবে বাংলার গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আরএসএস কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা তারা সংসদে তুলে ধরলেন, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূল কংগ্রেসের ‘স্বরূপ’ দেশের সামনে তুলে ধরতে লোকসভায় আরও জোরদার আক্রমন ৮ সাংসদ বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!