এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকে থেকে বাংলার করোনা মোকাবিলা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ

পিকে থেকে বাংলার করোনা মোকাবিলা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ


করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রথম দিন থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকায় সাধুবাদ জানিয়ে ছিলেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার এবং বিরোধী করোনাকে মোকাবিলা করতে যৌথভাবে তাদের লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেই আশা করেছিল রাজনৈতিক মহল। তবে মাঝে এসে থেমে গেল সেই চলার রথ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

যেখানে বিরোধীদের প্রধান এবং প্রথম অভিযোগ, রাজ্য সরকার করোনায় প্রকৃত মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে করোনায় ব্যাপক মোকাবিলা থাকা সত্ত্বেও দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যায় একই থাকায় বিরোধীদের মনে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জায়গাকে উদ্বেগজনক বলে ঘোষণা করে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।

যা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধ সামনে এসেছে। তৈরি হয়েছে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ। এদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার পরেই করোনায় রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা 57 জন বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। হঠাৎ করে সংখ্যাটি এত বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা মহলের তরফে ধেয়ে আসছে প্রশ্ন। বিরোধীদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আসলে রাজ্য সরকার এতদিন তথ্য গোপন করেছিল‌। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার পরেই তারা সঠিক তথ্য জানাতে বাধ্য হচ্ছে। তবে রাজ্যের বক্তব্য, মোট 57 জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঠিকই।

কিন্তু এর মধ্যে সরাসরি করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে 18 জন ব্যক্তির। বাকি অন্যান্যদের শরীরে যেমন করোনা ভাইরাস ছিল, ঠিক তেমনই অন্যান্য অসুখ ছিল। তাই তাদের করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে একথা বলা যায় না। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসাকে ঘিরে যখন বঙ্গ রাজনীতি কার্যত তোলপাড়, ঠিক তখনই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গসন্তান স্বপন দাশগুপ্ত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন একটি ফেসবুক বার্তায় রাজ্য সরকার আসল তথ্যকে চাপা দিচ্ছে বলে দাবি করেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় দলের চাপে করোনায় মৃত্যু নিয়ে আসল কথা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। পেট খারাপ হওয়ায় এক ব্যক্তি বনে গিয়েছিল পেট পরিষ্কার করতে। কিন্তু সেখানে তাকে বাঘে খায়। কিন্তু জানানো হয়, সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে পেট খারাপ নিয়ে। বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কথা বলছে, তা এই গল্পের মতই।”

এদিকে করোনায় আসল তথ্য চেপে দেওয়া নিয়ে স্বপনবাবু রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি পরিস্থিতি বাগে আনতে প্রশান্ত কিশোরকে আনা নিয়েও সরব হন তিনি। রাজ্যসভার এই বিজেপি সাংসদ বলেন, “পিকে তো আর পিসি সরকার নন। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এই সরকারের ওপর থেকে হারিয়ে গিয়েছে। সাংসদদের বন্দি করা হচ্ছে। তাদেরকে ত্রানে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষই আসল সত্য খুঁজে নিচ্ছেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গসন্তান তথা রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য তৃণমূল সরকারকে অত্যন্ত অস্বস্তিতে ফেলবে‌‌। কেননা বর্তমানে বাংলায় সব থেকে যে বিষয়টা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, তা হল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এবং রাজ্যের দ্বৈরথ। আর এরই মাঝে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার পরেই রাজ্যের তরফ থেকে যেভাবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি বলে দেখানো হল, তা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধুনা করে তোলপাড় তুলে দিলেন স্বপনবাবু বলে মত বিশ্লেষকদের।

বিশেষ করে প্রখ্যাত সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত তাঁর উচ্চ মেধার জন্য এবং যুক্তিসঙ্গত ধারালো বক্তব্যের জন্য দলমত নির্বিশেষে জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত চর্চিত মুখ। জাতীয় টেলিভিশনে দুঁদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রায়ই। আর তাঁর সেই জ্ঞানদীপ্ত যুক্তিসম্মত কথা মেনে নিতে একরপোকার বাধ্যই হন বিরোধীরা। সুতরাং তাঁর মত প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতে – জাতীয় স্তরে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!