এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পুলিশ সুপারের সাথে বাদানুবাদে জড়াতেই সিআইডির তলব হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদকে! বাড়ছে জল্পনা

পুলিশ সুপারের সাথে বাদানুবাদে জড়াতেই সিআইডির তলব হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদকে! বাড়ছে জল্পনা


একদিকে করোনার ভয়াল থাবা, অন্যদিকে আমপানের তান্ডব – কার্যত জোড়াফলার ধাক্কায় বিধ্বস্ত গোটা বাংলা। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকেই অনুরোধ করছেন – এখন যেন কেউ রাজনীতি না করে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার তাঁরই প্রশাসন ও দলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। পুলিশ সুপারের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়াতে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদকে সিআইডি দিয়ে হেনস্থা করানোর অভিযোগ উঠল এবার বাংলায়।

সূত্রের খবর, লকডাউনের মাঝেই এবার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদকে ডেকে পাঠালো সিআইডি। আগামী ১০ জুন সকাল ১১ টার সময় তাঁকে ভবানী ভবনে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যা মামলায় হাঁসখালি থানায় বিগত ২০১৯ সালের ১০ ই ফেব্রুয়ারি রিপোর্টের ভিত্তিতে জগন্নাথবাবুকে তলব করা হয়েছে। আর সিআইডির এই নোটিশ হাতে পেতেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ।

বিস্ফোরকভাবে তিনি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণতার অভিযোগ তুলেছেন। এদিন জগন্নাথবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে পুলিশ এরকম করছে। কারণ আমি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনেছি, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেছি। অনেক জায়গায় পুলিশ আমাকে বাধা দিয়েছে, রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও যেহেতু আমি গেছি তাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে পুলিশ এরকম আচরণ করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জগন্নাথবাবু আরও জানান, একাধিকবার আমাকে সত্যজিৎ খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি, কিছু পায়নি। গতকাল রানাঘাট পুলিশ সুপারের সঙ্গে বাদানুবাদের পরেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নবান্নের চাপে এটা করা হচ্ছে আমাকে ভয় দেখাবার জন্য। কিন্তু এভাবে আমাকে ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না। হুমকি দিয়ে, পুলিশের ভয় দেখিয়ে, সিআইডি দেখিয়ে জগন্নাথ সরকারকে দমাতে পারবে না। প্রসঙ্গত, স্বরস্বতী পুজোর দিন সন্ধ্যেবেলায় এক দুষ্কৃতী পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করে।

এরপরে পুলিশ বিজেপি রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার ও তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরূদ্ধে মামলা রুজু করে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন। রূপালীদেবীকেই বিপুল ভোটে হারিয়ে জগন্নাথবাবু সাংসদ নির্বাচিত হন। তৃণমূলের ‘সহানুভূতি ভোটের’ অঙ্ক এখানে কাজ করে না। অন্যদিকে, কৃষ্ণগঞ্জের উপনির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থীকে ধরাশায়ী করে জয়ী হয় বিজেপি।

আর তারপর থেকেই বারেবারে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে সিআইডি জেরার মুখোমুখি হতে হয়। এদিকে, এই মামলায় বারেবারেই গুঞ্জন ওঠে, গ্রেপ্তার হতে পারেন মুকুল রায়। আর তাই তিনি আদালতের স্মরণাপন্ন হন। আদালত মুকুল রায়কে এই মামলায় পুলিশকে সহযোগিতা করার আদেশ দেয়, সাথে সাথেই তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়েও রক্ষাকবচ জারি করে। এদিকে, লকডাউনের মাঝেই আবারো হঠাৎ করে জগন্নাথবাবুকে সিআইডি ডেকে পাঠানোয় জল্পনা বাড়ছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এই শমন কি জগন্নাথবাবুকে চাপে রাখতে, নাকি সত্যিই সিআইডির হাতে নতুন কোনো সূত্র এসেছে? সেই উত্তরের খোঁজেই আপাতত ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!