এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাসপুজোতেও গেরুয়া ঝড় প্রকট করতে এবারে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে হাজির বিজেপি শিবির

রাসপুজোতেও গেরুয়া ঝড় প্রকট করতে এবারে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে হাজির বিজেপি শিবির

 

কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পের কথা বঙ্গবাসী অনেকদিন থেকেই শুনছে। বলাই বাহুল্য, এই সমস্ত কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। আর এবার আসতে চলেছে রাসশ্রী পুরস্কার। কিন্তু এই কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির মস্তিস্কপ্রসূত। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নবদ্বীপ পৌরসভা নির্বাচন।

আর সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নবদ্বীপের বিখ্যাত উৎসব রাস উৎসবে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম রোল মডেল প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে পুরস্কার চালু করতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, ঐতিহ্যমন্ডিত রাস উৎসবে নিজেদের জনপ্রিয়তাকে আরও মজবুত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী 11 নভেম্বর থেকে নির্দিষ্ট বিচারকেরা রাস উৎসবের বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে পরিদর্শন করতে বেরোবেন।

12 নভেম্বর বিচারকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শ্রেষ্ঠ পুজাকে এই রাসশ্রী পুরস্কার প্রদান করা হবে। এমনকি রাস উৎসবের পুজোয় শোভাযাত্রা এবং বিসর্জনের দিন স্থানীয় সরকার পাড়া এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বুকস্টল জলছত্র এবং মেডিকেল ক্যাম্প তৈরি করে সাধারণ মানুষের আরও নিবিড়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে 11 নভেম্বর নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের কাছে শ্রীশ্রী নটরাজ বন্দনা পুজো এবং ফাসিতলার অন্নপূর্ণা মাতার পুজো উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এদিন এই বিষয় বলতে গিয়ে নবদ্বীপ দক্ষিণ মন্ডলের ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শিবশংকর মন্ডল বলেন, “নবদ্বীপের ঐতিহাসিক রাস উৎসবকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে নবদ্বীপ শহর ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে নবদ্বীপের রাসে এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রাসশ্রী সম্মান 2019 প্রদান করা হচ্ছে।”

জানা গেছে, শাক্ত ধারার প্রতিমায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, বৈষ্ণব ধারার প্রতিমায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং মণ্ডপসজ্জা, আলোকসজ্জায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার থাকবে। এছাড়াও পরিবেশ বিভাগের শ্রেষ্ঠ, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার রাখা হয়েছে বলে খবর। জানা গেছে, 12 নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির রাজ্য এবং জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে পুরস্কার প্রাপকের হাতে রাসশ্রী পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, নবদ্বীপ শহরের রাশ নিজেদের হাতে আনার জন্যই এবং ভক্তদের আবেগ নিজেদের বাগে আনতেই বিজেপির তরফে এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে বিজেপির তরফ এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সেই ব্যাপারে পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক তথা নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “বিজেপি বলেছিল নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর দেবে। বিজেপি বলে, আর করে দেখায় তৃণমূল। বিজেপি ভাঁওতাবাজী, ধোঁকাবাজী। এদের দলের রাজ্য সভাপতি শিক্ষাগত যোগ্যতার ডিগ্রী বিতর্কিত। যিনি বলেন, গরুর দুধ থেকে সোনা পাওয়া যায়। সেই দল মানুষের কি উপকার করবে, তা সবাই বুঝে গিয়েছে। প্রচার সর্বস্ব দল প্রচারেই থাকবে। জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে ওরা বিপদে ফেলবে। নবদ্বীপে অনেক আগেই অনেক পুরস্কার চালু হয়েছে। তাই এইসব করে কোনো কিছু লাভ হবে না।”

তবে তৃণমূলের তরফে যে দাবিই করা হোক না কেন, বিজেপি এই উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের ভোটব্যাংককে অনেকটাই বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!