এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলীয় কোন্দলের জেরেই কি ইস্তফা হেভিওয়েট বিজেপি যুব সভাপতির? তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে!

দলীয় কোন্দলের জেরেই কি ইস্তফা হেভিওয়েট বিজেপি যুব সভাপতির? তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে এখন জোর কদমে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলনকে বৃদ্ধি করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চাইছে তারা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র অস্বস্তিতে ফেলছে গেরুয়া শিবিরকে। এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন ভক্তকুমার রায়। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পয়লা জুলাই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ীর সঙ্গে যুব মোর্চার সভাপতি ভক্তকুমার রায়ের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আর এর পরের দিনই বিশ্বজিৎবাবু যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ভক্ত কুমার রায়কে শোকজ করেন বলে খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সেই শোকজের উত্তর দেন ভক্ত কুমার রায়।

আর এই ঘটনার পরেই যুব সংগঠনের সঙ্গে মাদার সংগঠনের গন্ডগোল সামাল দিতে রবিবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেও, আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ভক্ত কুমার রায়কে। আর এরপরই ভক্তবাবু পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন যে, তিনি সোমবার জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই ভক্ত কুমার রায় বলেন, “22 বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে আমি যুক্ত। গত সাড়ে চার বছর ধরে যুব মোর্চার পদে রয়েছি। তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দাদা, বৌদির উপর অত্যাচার হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই পরিষ্কার হবে, সেদিন কি ঘটেছিল। রবিবারের বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়নি। এই ঘটনার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সোমবার দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দেব।”

এদিকে এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ী বলেন, “আমি জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। যুব মোর্চার কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়। সেই অর্থে যুব মোর্চার পদে ছিলেন না ভক্তকুমার রায়। তিনি তো কোনো পদেই ছিলেন না। তাহলে আর ইস্তফার কি থাকল!”

এদিকে গোটা ঘটনা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তবে বিধানসভা নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, তখন এভাবে বিজেপি অন্দরে যদি কোন্দল চলতে থাকে, তাহলে তারা কিভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরমহলে। এখন উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতির হুঁশিয়ারি গেরুয়া শিবিরকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!