এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরোভোটেই বাজিমাত করতে বড়সড় নির্বাচনী কৌশল বিজেপির, পিছিয়ে নেই তৃণমূলও

পুরোভোটেই বাজিমাত করতে বড়সড় নির্বাচনী কৌশল বিজেপির, পিছিয়ে নেই তৃণমূলও

দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পৌরসভা নির্বাচন। তাই ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সাজো সাজো রব শুরু হয়ে গেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে। শুধু তাই নয়, এবারের পৌরসভা নির্বাচন যে আগামী 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত প্রায় সকল রাজনৈতিক দল। তাই অন্যান্য জেলাগুলির পাশাপাশি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন জোর প্রস্তুতি হুগলি জেলা জুড়ে।

পৃথক পৃথক রাজনৈতিক দল নিজেদের নির্বাচনী প্রচারে আলাদা আলাদা বিষয়কে হাতিয়ার করলেও, নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের ক্ষেত্রে হুগলি জেলার আলাদা আলাদা পৌরসভার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ইশতেহার প্রকাশ করতে চাইছে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দলীয় নেতৃত্বের কাছে আলাদা আলাদা পৌরসভার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ইশতেহার প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে।

কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে রাজ্য নেতৃত্ব বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। আধিকারিক স্তরে এখনও পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও, ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নিজের নিজের মতো করে প্রচার কর্মসূচী চালাতে শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল-বিজেপি তো বটেই, পিছিয়ে নেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস শিবির।

ইতিমধ্যেই বাম-কংগ্রেস জোটের বিষয়ে বামফ্রন্টের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে হুগলি জেলা সিপিআইএম এবং বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করা হয়েছে। আগামী 14 ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক রূপে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গী হতে পারে সিপিআইএমএল লিবারেশন, এমনটাও মনে করছে বামফ্রন্টের একটি বিশেষ সূত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচী নিয়ে নিজেদের দলের প্রস্তুতির ব্যাপারে ভারতীয় জনতা পার্টির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং হুগলি জেলা সম্পাদক স্বপন পাল বলেন, “আগামী পৌরসভা নির্বাচনে আলাদা আলাদা পুরসভার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ইশতেহার প্রকাশ করে আমরা নির্বাচন করব এবং সেই বিষয়ে মানুষের কাছে আগেভাগেই বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।” তারা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দলীয় স্তরে আলোচনা করা হয়েছে।

আবার অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই পৃথক ইশতেহারের প্রস্তাব আছে। কিন্তু এসব বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নীতিনির্ধারকরা ঠিক করবেন। ফলে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যেমন সিদ্ধান্ত নেবে, তেমনটাই হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কেবল উন্নয়ন, সেটা মানুষ জানে।” ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষেত্রে অবশ্য আগামী পৌরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা করে ইশতেহার প্রকাশের ব্যাপারটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

13 টি পৌরসভার ক্ষেত্রে নির্বাচনের জন্য আলাদা ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি সূত্রে খবর, শ্রীরামপুর সাংগঠনিক এবং হুগলি জেলা কমিটির অধীনে যত পৌরসভা নির্বাচন হবে, তার সবগুলোতেই আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করবে গেরুয়া শিবির। এবারের নির্বাচনে আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রায় প্রথম থেকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।

ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে অগ্রিম সিদ্ধান্ত নেওয়া তো বটেই, নির্বাচনের ক্ষেত্রে রণনীতি তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিরা। তবে আগামী 14 ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে সিদ্ধান্তে কি উপনীত হন নেতৃত্ব! সেটা অবশ্যই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে।

সব কিছু মিলিয়ে পৌরসভা নির্বাচনের আগে দলীয় ইশতেহার প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রণনীতি, ভোট প্রচারে আলাদা আলাদা ইস্যু ও বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে তৎপরতা ইতিমধ্যেই সোরগোল ফেলে দিয়েছে হুগলি জেলা রাজনীতির অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!