এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রথযাত্রা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ‘সুপার চমক’ গেরুয়া শিবিরের – জানুন বিস্তারিত

রথযাত্রা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ‘সুপার চমক’ গেরুয়া শিবিরের – জানুন বিস্তারিত


গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা নিয়ে জমজমাট রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক লড়াই এখন রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আদালতের দোরগোড়ায়। আর আদালতের নির্দেশে আপাতত স্থগিত সেই রাথযাত্রা। কিন্তু, একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ – প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বসে আলোচনা করে এর ফয়সালা করতে হবে।

কিন্তু, সেই আলোচনার প্রাক্কালেও রাজ্য সরকার আবার ছুটেছিল আদালতের দরবারে। কেননা, গেরুয়া শিবির এই আলোচনার জন্য তাদের তরফে পাঠাতে চেয়েছিল মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে। কিন্তু এই দুজনের বিরুদ্ধে ‘ফৌজদারি মামলা’ আছে এই যুক্তি দেখিয়ে ‘অন্য নেতাদের’ আলোচনায় পাঠানোর দাবি নিয়ে আদালতে গিয়ে বড়সড় ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার।

আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় – কারোর বিরুদ্ধে মামলা হলেই – তিনি অপরাধী হয়ে যান না, যতক্ষন না তাঁর অপরাধ প্রমান হচ্ছে। সুতরাং, বিজেপি যদি মুকুলবাবু বা জয়প্রকাশবাবুকে আলোচনায় পাঠায় তাহলে তাঁদের সঙ্গেই প্রশাসনকে আলোচনায় বসতে হবে। এরপরে, ‘ঢোঁক গিলে’ মুকুলবাবুদের আলোচনায় না ডাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না রাজ্য প্রশাসনের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আজ সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল, গেরুয়া শিবিরের তরফে আলোচনায় যাবেন মুকুল রায় ও এই রথযাত্রা নিয়ে যে মামলা চলছে তার সঙ্গে প্রথম থেকে জড়িত থাকা জয়প্রকাশ মজুমদার ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য প্রশাসনের তরফেও সেইভাবেই প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু, সব পরিকল্পনা উল্টে দিয়ে এই বৈঠকে যোগ দিতে যে তিনজন গেলেন – সেখানে ‘সুপার চমক’ রাখল বিজেপি। মুকুলবাবুর সঙ্গী হলেন খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

কিন্তু, হঠাৎ কেন শেষ মুহূর্তে এই পরিবর্তন? দিলীপবাবুর বক্তব্য, দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থাকতে হবে। তবে মামলায় আগাগোড়ায় সঙ্গে ছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার – তাঁরাও লালবাজারে যাবেন। তবে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা – এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির – আর তাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়তে চাপের খেলা শুরু করা হয়েছে।

আর সেই কারণেই – দিলীপবাবু ও কৈলাশজির মত হেভিওয়েট নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়ের সঙ্গে। যিনি প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত কিছু জানেন নিজের হাতের তালুর মত। তাই, প্রশাসন যদি কোন ‘বিশেষ’ যুক্তিতে হেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা আটকানোর চেষ্টা করে বা তার পরিধি ছোট করার চেষ্টা করে – তাহলে মুকুলবাবু দেবেন প্রশাসনিক যুক্তি। সঙ্গে, থাকবে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের মত হেভিওয়েট নেতাদের যুক্তির মহাচাপ! আর তাই এই ‘হাই-ভোল্টেজ’ মিটিং কোন পথে সামাল দেয় রাজ্য প্রশাসন – এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!