এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বনধেই প্রমান হবে অনেক কিছু, ঘরে বসে থাকার দিন শেষ – প্রতি পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মুকুল রায়রা

বনধেই প্রমান হবে অনেক কিছু, ঘরে বসে থাকার দিন শেষ – প্রতি পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মুকুল রায়রা


বামফ্রন্টকে শাসকের কুর্শি থেকে হঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলায় সেইভাবে কোনো বনধ সফল হয় নি। ফলে গত কয়েক বছরে বাংলায় এককভাবে বনধ ডাকে নি কংগ্রেস, এমনকি সাংগঠনিক রক্তক্ষরণের জেরে ইদানিং কোনো বনধকে সফল করতে পারছে না বামফ্রন্টও। আর তাই, আগামীকালের বাংলা-বনধ একপ্রকার অগ্নিপরীক্ষা গেরুয়া শিবিরের কাছে। প্রশাসনিক তৎপরতা ও শাসকদলের রাস্তায় নেমে বনধ আটকানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে কতখানি বনধ সফল করতে পারে গেরুয়া শিবির সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কালকের বনধ যে অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন মেনে নিচ্ছেন খোদ মুকুল রায়। তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে খুব কম বনধ দেখা গেছে রাজ্যে যেখানে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগদান করেছেন – তবে এই বনধে সেটাই হবে। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা গণতন্ত্রকে ছোড়া মেরেছিলেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুন করেছেন। তাই বিজেপির পাশে থেকে মানুষই এবার প্রতিবাদে সরব হবেন। তবে, একথা জানালেও মুকুলবাবুর জানেন এই বনধকে ব্যর্থ করতে কোনো কসুর ছাড়বে না শাসকদল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর তাই, বনধকে সফল করতে একপ্রস্থ নীল-নকশা তৈরী করে নিয়েছেন মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষের। গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ঠিক হয়েছে রাজ্য ও জেলার নেতারা প্রতিটি অঞ্চল ভাগ করে নিয়ে রাস্তায় নেমে সামনে থেকে নেতৃত্ত্ব দেবেন। আর রাজ্য দপ্তরের ঠান্ডা ঘরে নয়, রাজ্যস্তরের নেতাদের ছুটতে হবে জেলায়-জেলায়। সেখান থেকেই পরিস্থিতি অনুযায়ী দলের নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে বনধ পরিচালনা করতে হবে। গেরুয়া শিবিরের ‘বডি-লাঙ্গুয়েজেই’ পরিষ্কার, তৃণমূলের মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে টক্কর দিতে গেলে রাস্তায় নেমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্যস্তরের এক শীর্ষনেতার কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ ফুঁসছেন। ক্ষোভ চরমসীমায় পৌঁছেছে সরকারি কর্মচারী বা প্রশাসনের এক বৃহদংশের। তাঁরা চাইছেন রাজ্যে, এবার সত্যিকারের পরিবর্তন হোক। আর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস বা বামফ্রন্টের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না তাঁরা, কেননা বাম বা কংগ্রেসের না আছে নির্দিষ্ট দিশার আন্দোলন না আছে সংগঠন। আর তাই, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই পুঞ্জীভূত ক্ষোভে নেতৃত্ত্ব দিতে হবে বিজেপিকেই, বাংলার মানুষকে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির হাত থেকে বের করে আনতে অতিরিক্ত উদ্যোগ নিতে হবে আমাদেরকেই। আর তাই, শীর্ষনেতৃত্ত্বের কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে – পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে এ পথ চেনা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!