সংসদে CAB পাস না হলে আপাতত বাংলায় হচ্ছে না বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল? জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা রাজ্য December 8, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মোদি হাওয়ার উপর ভর করেই যে বাংলায় 18 টা আসন পেয়েছিল, তা মেনে নিচ্ছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বরা। তবে স্থানীয় নির্বাচনে যে সেই মোদি হাওয়া কাজ করবে না, তা হয়ত বুঝতে পারেননি বিজেপি নেতারা। আর তাইতো সদ্যসমাপ্ত বাংলার 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে সেইভাবে প্রচার না করার দরুন বিজেপিকে ধরাশায়ী হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির লক্ষ্য, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেয়ে বাংলার মসনদ দখল করা। ফলে সেদিক থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করা যে অত্যন্ত জরুরি, তা পরোতে পরোতে উপলব্ধি করে গেরুয়া শিবির। সেইমত উপনির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরেই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি 23 টি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে বাকি জেলা সভাপতি এবং মোর্চা সভাপতিদের নাম দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতেই আলোচনা করি ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সংগঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে গেল সংসদে সিএবি বিল পাস করা নিয়ে। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার লোকসভায় পাস হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তাই তার আগে বাংলার বিজেপি সাংসদরা যাতে দিল্লী না ছাড়েন, তার জন্য নির্দেশ জারি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর সেদিক থেকে দিলীপ ঘোষ রাজ্যে না আসায় বাকি সংগঠনের সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারল না বঙ্গ বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, সংসদ চলার সময় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দিল্লি থাকেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই বিমান ধরে বাংলায় চলে আসেন তিনি। শনি এবং রবিবার সংগঠনের কাজ করার পর রবিবার দিনের শেষে বিমান ধরে সোমবার দিল্লিতে লোকসভায় পা রাখেন দীলিপবাবু। তবে এবার সোমবার সংসদে বিল পাশ হওয়ার জন্য আর দিল্লি ছাড়তে পারছেন না বাংলার বিজেপি সাংসদরা। ইতিমধ্যেই সেই বিলের প্রস্তুতি হিসেবে নানা বই ঘাটতে করতে শুরু করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ফলে সেদিক থেকে তিনি বাংলায় না আসায় সংগঠনের বাকি সভাপতির নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে মনে করছেন একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য কমিটির এক সদস্য বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের 18 জন সাংসদ দিল্লিতে রয়েছেন। যাদের মধ্যে একাধিক এমপি সাংগঠনিক পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। সবথেকে বড় কথা রাজ্য সভাপতি নিজে থাকতে পারছেন না।” তাঁর মতে, “তাই প্রাথমিকভাবে আমরা ঠিক করেছি যে কোনো পর্যায়ে নেতৃত্বে নাম ঘোষণার প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকবে। 14 তারিখ দিলীপ ঘোষ কলকাতায় ফিরলে তা ফের চালু হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে এনআরসি ইস্যু বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছে, তাতে সংসদের এই নাগরিকত্ব বিল পাসের সময়ে বাংলার বিজেপি সাংসদরা সংসদে থেকে গোটা ব্যাপারটি বুঝে নিতে চাইছেন। আর তাই সংগঠনের সভাপতির নাম ঘোষণা অপেক্ষা এখন বিজেপি সিএবি বিল পাশেই বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সেদিক থেকে কিছুটা হলেও সংগঠনের কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করার দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছেন বাংলার 18 জন বিজেপি সাংসদ। ফলে সেই কাজ করার পরেই তারা বাংলায় এসে সংগঠনের প্রতি বেশি মনোযোগী হবেন বলে মত দলের একাংশের। আপনার মতামত জানান -