এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির সাধের মতুয়া ভোটে বড় সংশয়? ‘বিদ্রোহী’ খোদ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর? ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি?

বিজেপির সাধের মতুয়া ভোটে বড় সংশয়? ‘বিদ্রোহী’ খোদ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর? ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে মতুয়াদের ভোট যে একটা বড় ফ্যাক্টর, তা বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমদিকে মতুয়া পরিবারের সমর্থন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। কিন্তু বড়মা প্রয়াত হওয়ার পর শরিকি গন্ডগোলে তা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। যার একদিকে তৃণমূলের হয়ে ব্যাটিং করেন মমতাবালা ঠাকুর এবং অন্যদিকে বিজেপির হয়ে ব্যাটিং করেন তার ভাইপো শান্তনু ঠাকুর। পরবর্তীতে গত লোকসভা নির্বাচনে শান্তনু ঠাকুর জয় লাভ করে সাংসদ হন।

আর এরপর থেকেই কার্যত আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত মতুয়া পরিবার। কিন্তু এখন সেই মতুয়া পরিবার থেকে উঠে আসা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। আগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিড়ম্বনা যদি আরও দীর্ঘায়িত হতে শুরু করে, তাহলে মতুয়া ভোট বিজেপি কতটা ধরে রাখতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

সূত্রের খবর, রবিবার উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা ঠাকুরনগরের রাস উৎসবে নিজের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বস্তুত, কিছুদিন আগেই গোপালনগরে এসে এক সভা থেকে আগামী এক বছরের মধ্যে হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

তিনি বলেন, “কোনো এক নেতার কাছে শুনলাম, এক বছর পরে নাকি সোসাইটিতে নাগরিক আইন চালু হবে! এত দেরি হলে আমাদের আর দরকার নেই। পরবর্তীকালে এমনিই আমরা নাগরিকত্ব পাব।” স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে উদ্দেশ্য করেই যে শান্তনু ঠাকুর এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর একজন বিজেপি সাংসদ দলের রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করায় বিজেপির অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, এদিন মতুয়া ভক্তেরা অনেকেই ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছু লিখিত দাবি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে জানানো হয়। যার মধ্যে অন্যতম, দ্রুত নাগরিকত্ব আইন যাতে চালু করা হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গে কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক লোকেরা আমাদের পিছিয়ে রেখেছেন। যদি সুযোগ আসে দেখাবো, রাজনৈতিক ময়দান দখল করার ক্ষমতা কাদের আছে! কোনো রাজনৈতিক দলের কথামত আমরা চলব না। কিছুদিন আর অপেক্ষা করব। তারপরে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ না হলে মতুয়ারা তাদের মত ভাববেন। মতুয়াদের যদি মাছের চার দেওয়া হতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে মতুয়ারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমি মতুয়াদের কথাই শুনব। থোরাই রাজনীতির কথা শুনব। আমাদের নিয়ে যারা রাজনীতি করছে, তাদের লাভ হবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর নির্বাচনে লড়ার সময় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম নাগরিকত্ব প্রদান। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের পর অনেক সময় কেটে গেছে। এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিন সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন বনগাঁর এই বিজেপি সাংসদ। যেভাবে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম না করে তার মন্তব্যের বিরোধিতা করতে শুরু করলেন, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিজেপি সাংসদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই শান্তনু ঠাকুর। তার কাছে মতুয়াদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকায় যে প্রধান বিষয় তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তিনি বার্তা দিতে চেয়েছেন, যে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান না হলে তিনি অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। পাশাপাশি মতুয়ারা যে অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি, তাও বুঝিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। সব মিলিয়ে তার এই বক্তব্যে গেরুয়া শিবির কতটা অস্বস্তিতে পড়ল এবং এই বিজেপি সাংসদের মান ভাঙানোর জন্য দলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!