প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া- উত্তর চব্বিশ পরগণার এই অঞ্চলগুলি বরাবরই স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত হয় রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ভাটপাড়া, জগদ্দল এলাকায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ আসছিল। কিন্তু সেই অশান্তি এখনো থামেনি। প্রসঙ্গত এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এসেছে শাসকদল তৃণমূল। তার পরেও এই অশান্তি কেন বলে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আর এবার নতুন করে আরও একবার অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে ভাটপাড়া এলাকায়। উল্লেখযোগ্যভাবে এই অশান্তি তৈরি হয়েছে অর্জুন সিং এর বাড়ির অনতিদূরে। এবং অভিযোগ উঠেছে অশান্তির ফলে দুই পক্ষের মধ্যে শ্যুট আউট হয়।

এবং একজন গুরুতর আহত হয়ে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর তুঙ্গে। তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণের ফলে আহত হন রাজু সাউ যিনি একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার তদন্ত করতে এলাকায় পুলিশ এলে সাংসদ অর্জুন সিং পুলিশের সঙ্গেও ব্যাপক বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশকেই তিনি পাল্টা হুমকি দেন। অভিযোগ করেন, এখনো পর্যন্ত এলাকায় যতগুলি দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে তার প্রত্যেকটির পেছনে পুলিশের হাত রয়েছে। একইসাথে অর্জুন সিং দাবি করেন, পুলিশই খুন করাচ্ছে, লুট করাচ্ছে।

অন্যদিকে পুলিশের দেরিতে আসার কারণ নিয়েও তিনি বড়োসড়ো প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজা আনসারী এবং রাজু সাউ এই দুজন বন্ধু নিজেদের মধ্যেই খেলার ছলে গুলি চালায়। অন্যদিকে যেভাবে অর্জুন সিং রাজু সাউকে বিজেপি কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন, ঠিক একইভাবে রাজা আন্নসারীকেও তিনি তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অর্জুন সিং এলাকায় অশান্তির সূত্রপাত করছেন অকারণে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম জানিয়েছেন, অপরাধী কিংবা গুলিবিদ্ধ কেউই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত নয়।

এক্ষেত্রে পুলিশের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি পুলিশের কাছে আবেদন রেখেছেন, অপরাধীদের দল বা রং না দেখে গ্রেফতার করা হোক। অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত রাজা আনসারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং তার খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে খবর। এলাকায় রীতিমতো পুলিশি টহল চলছে। আপাতত রাজা আনসারীকে খুঁজে পাওয়াই এই মুহূর্তে অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট এই মামলার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাপক তরজা শুরু হতে চলেছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।