বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের রাজনৈতিক পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা! নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্র করে জল্পনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় মতুয়া মহাসংঘ থেকে বিজেপির টিকিট ভোটে দাঁড়ানো শান্তনু ঠাকুরের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব আইন করা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তার পরবর্তীতে বিজেপি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন চালু করা হবে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। যার ফলে কার্যত ক্ষিপ্ত সেই শান্তনু ঠাকুর বলে নানা মহলে শোনা যেতে শুরু করেছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই শান্তনু ঠাকুর দলের সঙ্গে যখন দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছেন, তখন তাকে নিয়ে চাঞ্চল্য আরও বাড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে শুক্রবার রাতে কালীঘাটের ঠাকুরনগরের নিজের বাড়ি থেকে ফিরেছেন সেই শান্তনু ঠাকুর তবে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে দেরী হলে তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টাবেন কিনা তা নিয়ে এখন প্রশ্ন চরম আকার ধারণ করেছে আর এই পরিস্থিতিতে আমার রাজনৈতিক অবস্থান মতুয়া মহাসংঘ ঠিক করবে বলে দাবি করলেন সেই শান্তনু ঠাকুর স্বাভাবিকভাবেই তার এই দাবির এবার রাজনৈতিক মহলের আলোচনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলতে শুরু করেছেন, নাগরিকত্ব আইন দ্রুত কার্যকর না হলে শান্তনু ঠাকুর বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সিদ্ধান্তের ওপর তার সমস্ত কিছু ছেড়ে দেওয়ার বার্তাতেই কার্যত পরিষ্কার। তিনি এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তার কাছে মতুয়া মহাসঙ্ঘের স্বার্থ শেষ কথা বলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হলে তিনি যে বিজেপি ত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আর শান্তনুবাবুর এই মন্তব্য এখন নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, শান্তনু ঠাকুরের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছে, তখন নিজেদের প্লাটফর্মে এসে মতুয়াদের জন্য তাকে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি এবার মতুয়াদের স্বার্থ বিঘ্নিত হলে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লেখাবেন শান্তনু ঠাকুর! এখন এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কি করেন শান্তনু ঠাকুর, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -