একের পর এক ধাক্কা! শিবসেনাকে ফিরে পেতে বিজেপি এবার সংঘের দিকে তাকিয়ে জাতীয় June 2, 2018 দেশের প্রতিটি কোন থেকে ধাক্কা খেতে খেতে বিজেপির ভীত নড়ছে ক্রমশ। লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার ঝটকা খেলো বিজেপি মহারাষ্ট্র থেকে। সম্প্রতি মহারাষ্টে পালঘর কেন্দ্র উপনির্বাচন ছিল। সেখানে বিজেপি জিতলেও তাকে সমানে সমানে কড়া টক্কর দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিবসেনা। আর তৃতীয় স্থানে নাম লিখিয়েছে বহুজন বিকাশ আগাড়ি নামে স্থানীয় দল। এঁরা পেয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ভোট। হিসাব করলে দেখা যায় জয়ী পদ্মশিবিরের তুলনায় মাত্র ৬৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছে তাঁরা। এই পরিসংখ্যান দেখে ঘাম ছুটেছে বিজেপির। গেরুয়া পার্টির এক বরিষ্ঠ নেতা বলেছেন যে এনডিএ শিবিরের ভোটই বিভক্ত হয়ে গেছে দুদলে। এটা যদি আগামীতেও চালু থাকে তবে এর ফায়দা লুটবে কংগ্রেস ও এনসিপি। বিজেপি তরফের ভোট ভাগাভাগি হলে বিরোধীরা স্বাভাবিকভাবেই সুযোগ নেবেন। তাই এরকম সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে নতুন পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। আপাতত চাইছে এনডিপি ক্ষত সারাতে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা যায়,মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মন্ত্রীসভার বিভাজন নিয়ে ফাটল তৈরি হয় বিজেপি এবং শিবসেনার ভিতর। সেই ফাটল আরো চওড়া হয় মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ও মুম্বাই পুরসভা নির্বাচনের সময়। তবে বিজেপি একবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীসকে দিয়ে শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে চেয়েছিল। তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। সম্পর্কের তিক্ততা আজও অব্যাহত। তবে আজও সম্পর্ক ঠিক করতে চায় বিজেপি। সে আভাস পাওয়া যায় ফডনবীসের উক্তিতেই। তিনি বলেন,”পালঘরে জিতলেও যে ভাবে দু’টি শরিক দলের মধ্যে লড়াই হয়েছে তা দুঃখজনক। ভোট প্রচারে দুই শরিক দলের মধ্যে তিক্ততার বাতাবরণ সৃষ্টি হলেও, আশা করব ওই তিক্ততা দ্রুত মিটে যাবে।” বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও মাঠে নামলেন এদিন একই উদ্দেশ্য নিয়ে। শিবসেনার মান ভাঙাতে সঙ্গপ্রধান মোহন ভাগবতের দ্বারস্থ হতেও পিছপা হচ্ছে না বিজেপি। প্রয়োজনে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনতেও প্রস্তুত বিজেপি। তবে এ প্রচেষ্টা কতদূর সফল হবে তাতে সংশয় রয়ে গেছে। কারণ শিবসেনার গতিবিধি জানাচ্ছে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাহা্য্য নিয়ে টাকার ছড়িয়ে ইভিএমে কারচুপি করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। তবেবিজেপি শিবসেনাকে কাছে পেতে এ ব্যাপারে সাহায্য চাইছেন আরএসএসের কাছে। তবে শিবসেনাকে কতটা হস্তগত করতে পারবে তাতে এখন থেকেই পড়েছে প্রশ্নচিহ্ন। কারণ গত জানুয়ারী মাস থেকেই তাঁরা এককভাবে চলার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। আর বিজপি সবসময়ই তাঁর বিপ্রতীপে অবস্থান করত। ফলত হঠাৎ করে হাওয়া বদল সম্ভব নয়। তার উপর আবার শিবসেনার মুখ উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে বিজেপি নাকি প্ল্যান করে শিবসেনার প্রার্থীকে হারাতে চেয়েছিলো। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি জানিয়েছেন, ” আমরা হার স্বীকার করছি না। ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারচুপি করেছে বিজেপি।” একসময় বিজেপি আর শিবসেনা ভাই-ভাই থাকলেও পালঘর উপনির্বাচন মুখোশ খুলে দিল আরো এক সত্যির। জানিয়ে দিল বিজেপি আর শিবসেনার মিলন আর সম্ভব নয়। তাঁরই ঝলক দেখা গেল ঠাকরের বক্তব্যে। তিনি জানান যে একসময় বিজেপি শিবসেনা শরিক থাকলেও,এখন তাঁর মনে হচ্ছে বিজেপির আর বন্ধুর প্রয়োজন নেই। এমতাবস্থায় বিজেপির বেশ বেগ পেতে হবে শিবসেনার অভিমুখ ফের একবার পদ্মশিবিরের দিকে ফেরাতে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশেরা। আপনার মতামত জানান -