এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপি সংসারে দাউদাউ করে জ্বলছে অশান্তির আগুন! হেভিওয়েট নেতাদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত গেরুয়া শিবির

বিজেপি সংসারে দাউদাউ করে জ্বলছে অশান্তির আগুন! হেভিওয়েট নেতাদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল থেকে হেভিওয়েট নেতা কর্মীদের নিজেদের দিকে আনতে এখন তৎপর হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের নেতা-কর্মীদের দলে যোগদান করানোতে বিজেপির অনেক পুরোনো নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন বলে খবর। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে তৃনমূলের এক প্রাক্তন সাংসদ এবং বিধায়ককে দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তৈরি হয়েছিল।

আর এবার দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করা হল আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। পাশাপাশি শোকজ করা হয়েছে নাগরাকাটার বিজেপির মন্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতিকে। স্বভাবতই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে একটি শোকজ চিঠি লিখেছেন।

যেখানে তিনি লেখেন, গত 18 ডিসেম্বর দলের সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় সংবাদমাধ্যমে দল বিরোধী বিবৃতি দিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। একইভাবে গত 19 ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন সন্তোষবাবু। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। আর এরপরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যার পরবর্তী সময়কালে সামাজিক মাধ্যমে কড়া বার্তা দিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “উচিত উত্তর পাবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে দুই নেতাকে শোকজের চিঠি পাঠিয়েছি। কোন বিবৃতির জন্য এই শোকজ, তা জানি না। শোকজের চিঠিতে তারিখের ভুল থাকলে তা সংশোধন করে আবার চিঠি পাঠানো হবে।” এদিকে এই ব্যাপারে নাগরাকাটা সন্তোষবাবু বলেন, “শোকজের চিঠি হাতে পাইনি। পেলে দলকে যা বলার বলব।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, যে যাই বলুন না কেন, বিজেপি তৃণমূলকে ভাঙ্গানোর চেষ্টা করলেও তৃণমূল থেকে আসা নেতারা এখন বিজেপির অনেক নেতার কাছে আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে গিয়েই এখন অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ভাঙতে গিয়ে এখন বিজেপির নিজের ঘর সামলানোই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!