প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   কথায় আছে, দিল্লির ক্ষমতা তারাই দখল করে, যাদের দখলে থাকে উত্তরপ্রদেশ। আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন‌‌। তার আগে নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এখন থেকেই উত্তরপ্রদেশের সংগঠনকে জোরদার করার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে জনসংযোগ মূলক কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে বিজেপি সরকার। তবে নানা বিষয়ে সেখানকার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে‌। আর এই পরিস্থিতিতে একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ বলে পরিচিত বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে নিয়ে আসা হল নতুন মুখ। যেখানে উত্তরপ্রদেশে আরএসএসের সহ-সরকার্যবাহ পদে কৃষ্ণ গোপালকে সরিয়ে নিয়ে আসা হল অরুণ কুমারকে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের সংগঠনে এই বদল নিয়ে এখন ক্রমশ গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বয়স জনিত কারণের জন্য কৃষ্ণ গোপালকে সরিয়ে সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল অরুণ কুমারকে। এক্ষেত্রে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অরুণ কুমার অত্যন্ত অভিজ্ঞ বলেই পরিচিত। 2019 সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় বসার পর 370 ধারা বিলোপ করতে যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তার ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছিলেন এই ব্যক্তি। তাই আগামী উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে তাকে বসিয়ে সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করা হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে একাংশ বলছেন, এখন সবথেকে বড় লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করা। আর সেই কারণেই বিজেপির পক্ষ থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে। হিন্দুত্বের পোস্টার বয় বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে অসন্তোষ ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তার মাঝেই আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সমন্বয় সাধন করতে অরুণ কুমারকে নতুন দায়িত্বে বসানোর সাথে সাথেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এখন অরুণ কুমার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সমন্বয় সাধনের চেষ্টায় সাফল্য আনতে কতটা সক্ষম হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।