এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে চাপ হেভিওয়েট নেতাকে! তুমুল চাপে গেরুয়া শিবির! সরগরম রাজনৈতিক মহল!

বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে চাপ হেভিওয়েট নেতাকে! তুমুল চাপে গেরুয়া শিবির! সরগরম রাজনৈতিক মহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হরিয়ানা বিজেপি সরকার থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে চাপ বাড়ছে জোট সঙ্গী জেজেপির ওপর। জানা গেছে, এখন ঘরে বাইরে ব্যাপক চাপে রয়েছেন জননায়ক জনতা পার্টির প্রধান দুষ্মন্ত চৌতালা।ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের অকালি সাংসদ হরসিমরান কউর বদল যেভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাতে জেজেপির উচিত হরিয়ানার বিজেপি সরকার থেকে এখনই বেরিয়ে আসা‌। যার ফলে হরিয়ানার শাসক দলে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, কৃষকের স্বার্থের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা এই জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্মন্ত চৌতালার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে কুরুক্ষেত্র জেলায় কৃষকদের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং পুলিশের লাঠিচার্জের পরিপ্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে পড়েছে জেজেপি নেতৃত্ব। আর তার মধ্যেই একটি বিল পাস হওয়ায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কৃষকদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দুষ্মন্ত চৌতলাকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।

শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের যে কৃষিনীতি তার পরিপ্রেক্ষিতে বহু জেজেপি বিধায়ক শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তাদের মুখ খুলতে শুরু করেছেন‌। ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে জননায়ক জনতা পার্টি।আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার হরিয়ানার বিজেপি সরকারের জোট শরিক থেকে বেরিয়ে আসবে দুষ্মন্ত চৌতালার দল? একাংশ বলছেন, যদি দুষ্মন্ত চৌতালা সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে 90 আসনবিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় 40 টি আসনে জয়লাভ করা বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়বে। সেদিক থেকে যদি হরিয়ানার ক্ষমতা ধরে রাখতে হয় তাহলে বিজেপিকে সাত নির্দল বিধায়কের উপর ভরসা করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যদি এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা শুরু হয়, তাহলে কি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হরিয়ানায় সরকার গঠন করা সম্ভব? এদিন এই প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “সংখ্যার হিসেবে সম্ভব। কারণ রাজ্যে আমাদের ত্রিশটি আসন। চৌতালা বেরিয়ে এসে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালে আমাদের আসন সংখ্যা হবে 41। তারপরেও ম্যাজিক সংখ্যা 46 পৌঁছতে আমাদের নির্দলের সমর্থন লাগবে। বিষয়টা বেশ কঠিন। কিন্তু চৌতালা বেরিয়ে এলে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারকে বিজেপি যেভাবে মাঝপথে ফেলে দিয়েছিল, সেই চিত্রনাট্যের পুনর্নির্মাণ হরিয়ানায় হতে পারে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, 2022 সালে হরিয়ানার পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোট। তার আগেই বিজেপি এবং আকালি দলের মধ্যে যেভাবে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তাতে সেই জোট ভাঙ্গা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার হরিয়ানাতে যদি জোট শরিক দুষ্মন্ত চৌতাল সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসে, তাহলে তা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে কতটা লাভবান হবে, তা বলা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু বিজেপির ক্ষেত্রে তা যে অত্যন্ত চাপের হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!