এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সরকার ফেলে দেওয়া ক্ষমতা আছে কংগ্রেসের বিজেপিকে হুঁশিয়ারি সোনিয়ার

সরকার ফেলে দেওয়া ক্ষমতা আছে কংগ্রেসের বিজেপিকে হুঁশিয়ারি সোনিয়ার


সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই সোনিয়া গান্ধীর ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন যে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য পটভূমি তৈরি করতে তাঁরা যথেষ্ট মরিয়া এবং আগ্রাসী। এদিন লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সাথে সাথেই তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলকে ভাবতে বাধ্য করছে যে এবার কি সত্যিই বিজেপি সরকারের ঘুম ছুটবে? কারণ ২০০৩ সালের অনাস্থা প্রস্তাবের পর ২০১৮ সাল।

১৫ বছরে এই নিয়ে আর একবার অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। প্রতিরক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জর্জ ফার্নান্ডেজকে ক্যাবিনেটে ফিরিয়ে নেওয়ায় ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আর এবার অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার ইস্যুতে টিডিপি – কংগ্রেস যৌথভাবে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল ।  বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব কি শুধুই রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল?

 

নাকি সত্ত্যিই তেমন শক্তি নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধী। স্পষ্ট করলেন সোনিয়া নিজে। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে ইউপিএয়ের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর তাত্‍পর্যপূর্ণ জবাব, ‘‌কে বলেছে আমাদের পক্ষে সংখ্যা নেই?’‌ ফলে জল্পনা আরো তীব্রতার হয়েছে যে তবে কি সত্যিই বিপদে পড়লো বিজেপি?

 

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অবশ্য প্রথমে রাজনৈতিকমহলের ধারণা ছিল যে সেই অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীরা  এনডিএ ঝড়ে উড়ে যাবে।কিন্তু সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যায় লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহন করায়। নিয়ম অনুযায়ী আস্থা প্রস্তাব গ্রহণের ১০ দিন বাদে অর্থাৎ আগামি শুক্রবার হতে চলেছে আস্থা ভোট। এদিকে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের সব সাংসদকে শুক্রবার লোকসভায় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাহলে কি একজোটে বিজেপি সরকারকে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সমস্ত বিরোধী দলরা?

আপাতত ঘটনাপ্রবাহ সেই দিকেই নির্দেশ করছে কারণ তৃণমূলের সব সাংসদকে শুক্রবার লোকসভায় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করার পেছনের নির্দেশ খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতার এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট আস্থাভোটের জন্য কোমর বাঁধতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। রবিবার বসতে চলেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকই কি হয়ে উঠবে বিজেপি সরকারের পতনের শুরু? কারণ একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সুত্র অনু্যায়ী ইউপিএয়ের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের সমর্থনে ভাঁটা পড়েনি পড়বেও না। তাঁর এই আত্মবিশ্বাসের পিছনে কি শুধুই আছে রাজনৈতিক রণকৌশল নাকি সত্যিই তার ভিত্তি অন্যান্য বিরোধীদের সমর্থন? সূত্রের খবর, আস্থাভোটে এনডিএ শরিক বিজু জনতা দল সহ আরও বিরোধীরা একজোট হতেই পারে।রাজনীতির রণাঙ্গনে পালাবদলের অপেক্ষার জল্পনা শুরু ইতিমধ্যেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!