প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা দখলের জন্য রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিজেপি রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতারা। সপ্তাহের মধ্যে কোনো না কোনো কেন্দ্রীয় স্তরের হাইপ্রোফাইল নেতাদের বাংলায় আসতে দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের সভায় আজ কার্যত জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এগড়ার সভায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শোনাতে শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা ক্ষমতায় আসলে সোনার বাংলা গঠন করা হবে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে কেমন হবে পশ্চিমবঙ্গ, তা জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ। পাশাপাশি পাঁচ বছরে সোনার বাংলা গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেল তাকে।বস্তুত, আজ এগড়ার সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কাটমানি, দুর্গাপুজো না করতে দেওয়া সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তোলেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, “বাংলায় দূর্গাপূজো করার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হয়। একবার পদ্মের সরকার তৈরি করে দিন। বাংলার মাটিতে দুর্গাপুজো এবং সরস্বতী পুজো কেউ আটকাতে পারবে না। পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। বিজেপি জিতলে কাটমানি দিতে হবে না। বিজেপি সরকারে এলে সপ্তম বেতন কমিশন চালু হবে। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দেব। মোদীজি সোনার বাংলা গঠন করতে চান। বিজেপিকে ভোট দিন, পাঁচ বছরে আমরা সোনার বাংলা গঠন করে দেব।”

অর্থাৎ একদিকে অমিত শাহ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন হলে সেই সমস্ত কিছু হবে না বলে সুশাসনের আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ এখন বেশিরভাগ সময় বাংলায় পড়ে আছেন কারণ, তাদের প্রধান লক্ষ্য বাংলা দখল করা। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলা সুরক্ষিত নয়, এই কথাই নিজেদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বারে বারে তুলে ধরছেন এই সমস্ত বিজেপি নেতারা।

আর আজ মেদিনীপুরের সভা থেকে দুর্গাপুজো বন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে কাটমানির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আরো কোণঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য। যেখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলে এই সমস্ত কিছু আর হবে না বলে সোনার বাংলা গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেল তাকে। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আগে বিজেপি সোনার ভারত গঠন করুক।

তারপর সোনার বাংলা গঠনের দিকে তারা মনোযোগী হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এমনিতেই বাংলা সোনার হয়ে গেছে। তবে নির্বাচনের আগে অমিত শাহের আজকের এই সভা যে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।