এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মধ্যপ্রদেশে হেভিওয়েট নেতাকে ঘরে নিয়ে পাল্টা প্রত্যাঘাত গেরুয়া শিবিরের

মধ্যপ্রদেশে হেভিওয়েট নেতাকে ঘরে নিয়ে পাল্টা প্রত্যাঘাত গেরুয়া শিবিরের

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনই জাতীয় ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। এর মধ্যে সবার নজরে বিশেষ গুরুত্ত্ব পাচ্ছে দুই রাজ্য – রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ। দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় আপাতত বিজেপি – কিন্তু বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় উঠে আসছে সেখানে রয়েছে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। আর তাই, সেই হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে সেই দুই রাজ্যের দখল নিতে মরিয়া কংগ্রেস শিবির। কেননা লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই দুই রাজ্যে বিজেপিকে হারানো গেলে – সেক্ষত্রে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রচারটা জোরদার করা যাবে।

আর এই আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও জমাট বাঁধছে। কেননা, ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ত্বাধীন বিজেপিকে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল থেকে আটকাতে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে ক্রমশ এক ছাতার তলায় আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আর, দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য – রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হওয়া মানেই – মোদী হাওয়া অস্তমিত এই আওয়াজ তুলে – দাঁত-নখ বার করে তীব্র আক্রমণের রাস্তায় যাবে বিরোধীরা। ফলে, যে কোন মূল্যে এই দুই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া অমিত শাহ। আর এই রাজনৈতিক আবহাওয়ার মধ্যেই কংগ্রেস ও বিজেপি – দুই দলই একে অপরকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই অবস্থায় গতকালই বিজেপিকে ধাক্কা দিতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শ্যালক সঞ্জয় সিং মাসানিকে দলে নিয়ে চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এবার প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা প্রেমচাঁদ গুড্ডুকে দলে নিয়ে পাল্টা প্রত্যাঘাত করল বিজেপি। দলিত নেতা প্রেমচাঁদকে শেষমুহূর্তে পেয়ে শুধু শূন্যস্থান পূরণই হবে না, মালওয়া এলাকায় প্রভাব বিস্তারেরও সুযোগ মিলবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, প্রেমচাঁদ হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে অন্যতম, তার উপর তিনি দলিত নেতা। ফলে, তাঁকে পেয়ে দলিত ভোটেও থাবা বসাতে পারবে বিজেপি। যা নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি দেবে গেরুয়া শিবিরকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!