এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির সাংগঠনিক বিন্যাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, সরকারি কর্মচারীদের জন্যও সুখবর?

বিজেপির সাংগঠনিক বিন্যাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, সরকারি কর্মচারীদের জন্যও সুখবর?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – গতকাল বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ঘিরে জল্পনা ছিল সারাদিন ধরেই – কিন্তু, সেই বৈঠক শেষে আরেক বৈঠকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই বাংলায় গেরুয়া প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছিল, আর লোকসভা নির্বাচনের পর তো বিপুল যায় গোটা বাংলা জুড়ে রীতিমত গেরুয়া ঝড় উঠে গেছে। ফলে কলেবরে বাড়ছে গেরুয়া শিবির।

কিন্তু, দলের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন সমস্যায় পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। একই ধরনের একাধিক সংগঠন খুলে তার মাথায় নিজে বসে পড়ছিলেন একাধিক জন। আর তারপর কার সংগঠনে কে নাম লেখাবেন তাই নিয়ে রীতিমত শুরু হয়ে যাচ্ছিল দ্বন্দ্ব। উদাহরণ হিসাবে, কিছুদিন আগেই টালিগঞ্জে গেরুয়া শিবিরের দু-দুটি সংগঠনের বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতির প্রকাশ্যে লড়াই এখনও মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। আর এইসব ঘটনায়, রাজ্যনেতাদের অস্বস্তি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছিল।

আর তাই গতকাল এই ধরনের বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, দলের মধ্যে একই ইস্যুতে একাধিক শাখা সংগঠন খোলা কিছুতেই যাবে না। যেগুলি এখনই আছে, সেগুলিকেও মিলিয়ে দিয়ে একটিই সংগঠন আগামীদিনে করা হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে – বিভেদ ভুলে নিজেরাই এক জায়গায় আসার চেষ্টা করুন।

এছাড়াও, স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যদি নিজেরা না একজায়গায় আসতে পারেন, তাহলে দুর্গাপুজোর পরে দল বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে, কোন সংগঠন থাকবে আর তার সঙ্গে কোন সংগঠনকে মিশে যেতে হবে। কে নেতৃত্ব পাবেন আর কাকে সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে হবে। দলের সেই নির্দেশ না মেনে কেউ যদি তারপরেও আলাদা সংগঠন করার চেষ্টা করেন, দল তো তার অনুমোদন দেবেই না, উল্টে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিলীপবাবুদের বক্তব্য স্পষ্ট, আগামীদিনে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য রেখেছেন তাঁরা, এখন থেকেই যদি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কড়া হাতে না দমন করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে তা রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক হেভিওয়েট নেতা। এদিকে, এর পাশাপাশিই সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের কথা যে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তরফে – কালকে তা কার্যত স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গতকালের বৈঠকে অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল।

দেবাশীষবাবুর কাছে কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চান রাজ্যের পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের সময় ভোটকর্মীদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টে করা তাঁর মামলা, ডিএর বঞ্চনা, পে-কমিশন নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘ছেলেখেলা’ থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বঞ্চনা – প্রতিটি বিষয়েই খোঁজ নেন তিনি। এরপরে তিনি স্পষ্ট করে দেন, বাংলায় সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকমহলের সমাজের উপর যথেষ্ট প্রভাব আছে। তাই, তাঁদের কথা গেরুয়া শিবির অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই ভাববে। তিনি দেবাশীষবাবুদের নির্দেশ দেন – এই সব ইস্যুতে ঝড় তুলে বর্তমান রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে।

শিব প্রকাশ আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের দাবি নিয়ে আগামীদিনে বড়সড় কর্মসূচি নিতে হবে। এমনকি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আগামীদিনে একটি বৃহত্তর ছাতার তলায় সরকারি কর্মচারী, আধা সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাবন্ধু, অসংগঠিত শ্রমিক – সবাইকেই নিয়ে আসা হবে। প্রতিটি সংগঠন একজন করে নেতার নেতৃত্ত্বেই চলবে আর সবার উপরে একজন থাকবেন শীর্ষনেতা হিসাবে – যিনি প্রতিটা শাখার সমস্যায় গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। সবমিলিয়ে, একদিকে যখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে সংগঠন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের, পাশাপাশিই সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক আন্দোলনে গতি আনতেও বৃহত্তর পদক্ষেপের ভাবনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!