এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আটকাতে পারলো না মুকুলও, ২০২১ এর আগেই বিজেপিতে বড়সড় ভাঙ্গন! ঘর ভরালো তৃণমূল !

আটকাতে পারলো না মুকুলও, ২০২১ এর আগেই বিজেপিতে বড়সড় ভাঙ্গন! ঘর ভরালো তৃণমূল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন দলবদলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিনিয়ত তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সন্দেশখালিতে বড়সড় ভাঙ্গন ধরল ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যেখানে বিজেপি ছেড়ে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা এবং দলবদল বিজেপিকে যে অনেকটাই চাপে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে গেরুয়া শিবির রাজ্য দখলের জন্য ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে শুরু করেছে এবং তৃণমূলের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে, সেখানে এত সংখ্যক কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করে বিজেপির চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন সুন্দরবনের সন্দেশখালির ধামাখালি গেস্ট হাউজ মাঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা সহ অন্যান্যরা। আর সেই কর্মীসভা থেকেই সন্দেশখালি 2 নম্বর ব্লকের শেহারা অঞ্চল থেকে প্রায় 200 বিজেপি নেতা এবং কর্মী তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। যাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন সন্দেশখালির রূপকার শেখ শাহনাজ। স্বাভাবিক ভাবেই এত কর্মী-সমর্থক একদিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখানকার সমীকরণ বদলাতে শুরু করবে বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিজেপির এত সংখ্যক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন শেখ শাহজাহান। গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এটা সংস্কৃতির বাংলা। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির জায়গা নেই।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্যই সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন বলে দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা।

তিনি বলেন, “উন্নয়নের হাতিয়ার করে এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পগুলোকে নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, তাতে সব ধর্মের মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উপকৃত হচ্ছেন। যেভাবে একদিকে সংখ্যালঘু ইমামদের ভাতা চালু করেছেন, অন্যদিকে রাজ্যের পুরোহিতদের সাম্মানিক ভাতা চালু হচ্ছে। বাংলা আবাস যোজনার ঘর দিচ্ছেন। তাতে সবাই উপকৃত হবেন।” অর্থাৎ সন্দেশখালিতে প্রায় দুশো বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখানে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল শাসকদল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। মুকুল রায় পদ পাবার পরে অনেকেই ভেবেছিলেন যে আর তৃণমূলে কেউ যাবে না। কিন্তু এহেন ফের বিজেপির ঘর ভাঙ্গায় চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!