এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপিতে যোগ দিতেই জালনোট কাণ্ডে ফাসানোর অভিযোগ! পুলিশের ঘুম ওড়াল বিধায়ক সহ গেরুয়া বাহিনী

বিজেপিতে যোগ দিতেই জালনোট কাণ্ডে ফাসানোর অভিযোগ! পুলিশের ঘুম ওড়াল বিধায়ক সহ গেরুয়া বাহিনী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেই সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের। মুকুল রায়ের মত হাইপ্রোফাইল নেতারাও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই নিচুতলায় এই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার জালনোট পাচারের দায়ে দুই ব্যক্তিকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাল ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, এই ঘটনার জন্য যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা দুইজন বিজেপির সদস্য। কিছুদিন আগেই তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এদিন তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতেই রীতিমত গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গেল বিজেপির বিধায়ককে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, প্রতিহিংসাপরায়ন ভাবে তাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যেভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নিজের দলের কর্মীকে বাঁচানোর জন্য রীতিমত ময়দানে নেমে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক, তাতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার গভীর রাতে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ কালিয়াচক 3 ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য ধনঞ্জয় মন্ডল এবং তার দাদা অমৃত মন্ডলকে পাচারকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। আর এরপরই বৃহস্পতিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করার উদ্যোগ নিতেই সেই পুলিশের গাড়ি আটকে দেয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যেখানে নেতৃত্ব দেন বৈষ্ণবনগর বিজেপির বিধায়ক স্বাধীন সরকার। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সম্প্রতি তাদের দলে যোগ দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে চক্রান্ত করে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করা হল। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি সত্যিই প্রশাসনের বিরুদ্ধে এতদিন যে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল, তা ন্যায় সঙ্গত! সত্যিই কি তাহলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো সত্যি? বিজেপিতে যোগ দিলেই সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সত্যিই কি তাহলে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে! এদিনের এই ঘটনায় তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

এদিন এই প্রসঙ্গে বৈষ্ণবনগর বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার বলেন, “পুলিশের লাঠির আঘাতে বিজেপির মন্ডল সভাপতি অনিল সরকার সহ বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশকে কোনো রকম বাধা দেওয়া হয়নি। ধনঞ্জয় পাচ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পুলিশ এবং এসটিএফ জালনোট পাচারের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণের অভিযোগ করা হলেও, তাকে অস্বীকার করছে শাসক দল।

এদিকে এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃনমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “একদিকে গরু এবং কয়লা পাচার নিয়ে হৈ চৈ করছে কেন্দ্রের শাসক দল। আবার ওই দলের বিধায়কের নেতৃত্বে জালনোট পাচারকারীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা হচ্ছে। বিজেপির এই দুমুখো চরিত্র ক্রমশ সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, মালদহের এই ঘটনা নিয়ে এবার যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে শাসক-বিরোধী তরজা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, তা বলাই যায়। যেভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে সদ্য তাদের দলে যোগ দেওয়া দুই কর্মীকে পুলিশের পক্ষ থেকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হল বলে অভিযোগ উঠছে, তাতে পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!