এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিতে যোগ দিতেই অফিস দখল, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

বিজেপিতে যোগ দিতেই অফিস দখল, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এককালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে অর্পিতা ঘোষ সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নানা দল বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ তুলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তখন বালুরঘাট শহরে সেই দেবাশিস মজুমদারের উদ্যোগে দাদার অনুগামী ফ্লেক্স পড়তে শুরু করে। সাম্প্রতিক কালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই সেই দেবাশিস মজুমদারকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা যায়।

আর এরপরই বালুরঘাটের আন্দোলন সেতুতে দেবাশিস মজুমদারের যে অফিস ছিল, সেই অফিসটি এবার দখল নিয়ে নিল তৃনমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, দেবাশিস মজুমদার পেশায় আইনজীবী। কিন্তু তিনি তৃনমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নামেই এই অফিসটি ছিল। কিন্তু বালুরঘাট টাউন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। তারাই এই অফিসে বসতেন। তবে দেবাশিস মজুমদার বিজেপিতে যোগ দিতেই সেই অফিসটি ছেড়ে দেয় তৃনমূলের ছাত্র এবং যুব সংগঠন। যার ফলে সেই অফিস এদিন বালুরঘাট টাউন তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দখল করা হয়েছে। যার ফলে টালমাটাল বঙ্গ রাজনীতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেবাশিস মজুমদার বালুরঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়াতে শঙ্করবাবুর অনুগামীরা তার সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘাতে নেমে গেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও বা এটা তার ব্যাক্তিগত অফিস বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেবাশিস মজুমদার।

এদিন তিনি বলেন, “এই অফিস আমার ব্যাক্তিগত। কিন্তু তৃনমূলের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের বেশ কিছু নেতা আমার কাছ থেকে এই ঘর ভাড়া নিয়েছিল। আমাকে তারা টাকাও দিত। কিন্তু সম্প্রতি আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তারা আমাকে ঘরের চাবি দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এদিন শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে থাকা দুস্কৃতীরা আমার অফিস অবৈধভাবে দখল করেছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা দেবাশিস মজুমদারের তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন বালুরঘাট টাউন তৃনমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট টাউন তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল লাহা বলেন, “এই অফিসটা তৃনমূলেরই ছিল। কিন্তু কেউ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এখান থেকে আমাদের নেত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে এদিন আমরা আবার সেই অফিস পুনরুদ্ধার করেছি। ভাড়া যখন দিতে হয়, তখন আমরাই না হয় সেই ভাড়া দেব। ” তবে সংস্কৃতির শহর বালুরঘাটে এভাবে অফিস দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলা জুড়ে।

একাংশ বলছেন, যদি সত্যি সত্যিই এটা দেবাশিস মজুমদারের ব্যাক্তিগত অফিস হয়, তাহলে তা নিয়ে চাপে পড়তে হতে পারে শাসকদলকে। স্বভাবতই ফের শান্তির শহর বালুরঘাটে এই অফিস দখলের রাজনীতি নিঃসন্দেহে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির চাপানউতোর বাড়বে বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!