এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দুর কাছে “ভালো লোক” বুদ্ধদেব! নয়া সমীকরণে জল্পনা

বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দুর কাছে “ভালো লোক” বুদ্ধদেব! নয়া সমীকরণে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলে নন্দীগ্রাম লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেলেও তার পাশে সব সময় দেখা যেত শুভেন্দু অধিকারীকে। বামেদের বিরুদ্ধে শুভেন্দুবাবুর লড়াই ছিল চোখে পড়ার মত। বাম বিরোধিতার অন্যতম মূর্ত প্রতীক ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে লক্ষ্মণ শেঠ সহ সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে তার আওয়াজ চেনা ছিল সকলের কাছে। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী কি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সকলের কাছে অচেনা হয়ে গেলেন?

যার রক্তে মিশে গেছে বামপন্থীদের বিরোধী সুর, সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই কেশপুরের সভা থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে “ভালো লোক” বলে অভিহিত করলেন। কেন হঠাৎ করে শুভেন্দু অধিকারীকে এই মন্তব্য করতে হল? কেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভূয়সী প্রশংসা করতে হল তাকে? অনেকে বলছেন, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বামেদের ভোট যাতে বিজেপিতে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশংসা করলেন তিনি। এক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট বলেই দাবি করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, এদিন কেশপুরের মাটি থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বুদ্ধবাবু সৎ ছিলেন। বামেদের আমলে প্রতিবছর এসএসসি হত। 2014 সালের পর থেকে রাজ্যে আর কোনো এসএসসি হচ্ছে না। বামফ্রন্ট আমলে রাজ্যে কাজ হয়েছিল। তৃণমূল কোনো কাজ করেনি।” আর এখানেই অনেকে প্রশ্ন করছেন, হতে পারে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু তার মতাদর্শের তো কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি তো দক্ষিণপন্থী ঘরানাতে এখনও পর্যন্ত রয়েছেন।

সে ক্ষেত্রে যে বামেদের বিরুদ্ধে তিনি এতকাল লড়াই করে আসলেন, বিজেপিতে যাওয়ার সাথে সাথে সেই বামেদের প্রশংসা কেন করে বসলেন শুভেন্দুবাবু? তাহলে কি তার কাছে রাজনৈতিক স্বার্থ সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়ালো! এক্ষেত্রে এতদিন যাদের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল, তিনি কি বিজেপিতে যাওয়ার সাথে সাথেই শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির জন্য সেই বামেদের খুশি করতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বসলেন! এক্ষেত্রে এতদিন যে সরকারের তিনি মন্ত্রী থাকলেন, সেই তৃণমূল সরকারকে তিনি কীভাবে কটাক্ষ করলেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার বলছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এককথায় তো তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উঠতে-বসতে বিরোধিতা করতেন। কিন্তু এখন সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে জন্মদিনে ফুল, পাঞ্জাবি পাঠান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।

তাহলে সেটা যদি বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারেন, তাহলে কেন শুভেন্দু অধিকারী সত্যি কথা বললে তা মেনে নিতে পারবেন না তৃণমূল নেতারা! আসলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি আসার পরই চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই এই সমস্ত ছোট কথাকে ইস্যু করে তারা শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলতে চাইছে‌। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য বর্তমানে রাজনীতি থেকে বহু ক্রোশ দূরে। তিনি অসুস্থ। কিন্তু আজও তিনি কীভাবে প্রাসঙ্গিক রয়েছেন শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীদের কাছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকেই উঠতে-বসতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরোধিতা করতেন।

কিন্তু ভোটের রাজনীতির জন্য এখন যে সেই বাম বিরোধী শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও বুদ্ধদেববাবু সৎ বলে মন্তব্য শোনা যাবে, তা কেউ কস্মিনকালেও কল্পনা করতে পারেননি। সব মিলিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায় বামেদের প্রশংসা এখন রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!