প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে, তা প্রত্যেকেই স্বীকার করে নেন। সামনেই 2021 এর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনের আগে রাজ্যে ভালো ফল করতে কার্যত তৎপর ভারতীয় জনতা পার্টি। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই নিজের প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে তাকে।

এতদিন শুধুমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু এবার বিজেপিতে যোগদান করার পর টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললেন শুভেন্দুবাবু। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপিতে নাম লেখানোর পর টুইটারে তার এই অ্যাকাউন্ট খোলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি করছেন সকলে। সূত্রের খবর, শনিবার শুভেন্দু অধিকারী নিজের নামে এই টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। যেখানে নিজেকে বিজেপির সদস্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক এবং তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, এই টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথেই তার ফলোয়ারের সংখ্যা 3 হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এদিন এই নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার পর শুভেন্দু অধিকারী সেখানে লেখেন, “বন্ধুগণ, আমার নতুন যাত্রার পথে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য আমি টুইটারে এসেছি। আপনার সাথে এই যাত্রায় এগোতে এই অ্যাকাউন্টে আপনার সমর্থন এবং সংযোগ কামনা করি।”

অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বর্তমান যুগ অনেকটাই সেলফোনে বন্দি হয়ে যাওয়ায় এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার প্রক্রিয়ায় জোর দিতে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। আর এই পরিস্থিতিতে শিবির বদলে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের জনসংযোগকে আরও বাড়িয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দুবাবু বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রবিবার বিকেল পর্যন্ত 13 টি টুইট করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর এই অ্যাকাউন্ট থেকে। বলা বাহুল্য, এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা খুব একটা কম নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর তার পথ অনুসরণ করেই একাধিক তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ভবিষ্যতে শুভেন্দু অধিকারীর পথ ধরে অনেকেই বিজেপিতে আসতে শুরু করবেন বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারী টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের যোগাযোগ আরও বাড়িয়ে দিতে চাইলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।