এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির সাংগঠনিক “কঙ্কাল” কি ক্রমশ বেরিয়ে পড়ছে? খোদ রাজ্য সভাপতির উস্মাতেই জল্পনা চরমে!

বিজেপির সাংগঠনিক “কঙ্কাল” কি ক্রমশ বেরিয়ে পড়ছে? খোদ রাজ্য সভাপতির উস্মাতেই জল্পনা চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ফলাফল ছিল চোখে পড়ার মত। আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এরপর থেকেই উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরে জোয়ার আসতে শুরু করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিপুল নেতাকর্মী যোগ দিতে শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। কিন্তু বর্তমানে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়ি শহরে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা তেমন ভালো নয় বলেই নানা মহলের তরফে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। আর এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও এই ব্যাপারে শোনা গেল অসন্তোষের সুর।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে বলতে এসে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, শিলিগুড়িতে সংগঠনে কিছুটা হলেও চনমনে ভাবের অভাব রয়েছে। বস্তুত, করোনা মহামারীর সময় মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান দেখে নিয়েছেন। কোন রাজনৈতিক দল তাদের পাশে বেশি পরিমাণে থাকছেন, তা প্রতি সময় প্রত্যক্ষ করেছে জনতা জনার্দন। সেদিক থেকে শিলিগুড়িতে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও, সেভাবে বিজেপির নেতা কর্মীদের ময়দানে নামতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছে যাওয়া হয়েছে। আর ভয়াবহ মুহূর্তে সাংগঠনিক নেতারা মানুষের কাছে না পৌঁছানোর কারণে দল যে অনেকটাই এখানে ঝিমিয়ে পড়েছে, তা বুঝতে পেরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সাংগঠনিক বৈঠকের মাধ্যমে এই ব্যাপারে দলকে চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখানে সাংগঠনিক কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। তা কাটাতেই এদিনের সভায় গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।” এদিকে দিলীপ ঘোষ এসসে বৈঠক করার পর দলের সংগঠনকে অনেকটাই চাঙ্গা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল।

তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি গ্রামীণ এলাকায় দলীয় কর্মসূচি চলছে। দলের বার্তা 50000 বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শহরে সেভাবে দলীয় কর্মসূচি করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সভাপতির বৈঠকে আমরা বাড়তি অক্সিজেন লাভ করলাম। এবার শহরেও আমরা নামব।” সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি শহরের সংগঠন যে কিছুটা হলেও দুর্বল, তা স্বীকার করে নিয়ে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপ ঘোষের এই বার্তার পর শিলিগুড়িতে বিজেপি নেতৃত্ব কতটা সচেষ্ট হয় তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চালায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!