বিজেপি থেকে তৃণমূলে যেতে গেলে মানতে হচ্ছে শুদ্ধিকরণ প্রথা, বাড়ছে বিতর্ক তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য June 25, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জেলায় কমবেশি প্রায় প্রতিদিন গেরুয়া শিবির ভেঙে তৃণমূলে চলে আসছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এবং তাঁদের তৃণমূলে প্রবেশ করতে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে দিয়েও যেতে হচ্ছে। যা রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের সংগঠন প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে দলবদলের সূত্রে। আর এই দলবদল করতে গেলে কখনো বিজেপি কর্মীদের গঙ্গা জল দিয়ে শুদ্ধ করা হচ্ছে, কখনো তাঁদের মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত করানো হচ্ছে, আবার কখনো দেখা যাচ্ছে স্যানিটাইজার দিয়ে ভাইরাসমুক্ত করা হচ্ছে। আর এই ঘটনাগুলিই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করছে, পাশাপাশি দুই শিবিরের মধ্যে চাপানউতোর বৃদ্ধি করছে। এবার অনুব্রত গড় বীরভূমের বোলপুর বিধানসভার ইলামবাজার এলাকার দেবীপুরে বিজেপি থেকে প্রায় দেড়শো জন কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, যাদের বেশীরভাগই মহিল মোর্চার কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দলবদলকারীদের স্যানিটাইজার ছিটিয়ে দলে যোগদান করানো হয়। এ প্রসঙ্গে ইলামবাজার তৃণমূল নেতা দুলাল রায় জানিয়েছেন, যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা এতদিন ভাইরাসের মধ্যেই ছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই তাঁদের তৃণমূলে নেওয়ার আগে ভাইরাসমুক্ত করা হল। আর তার জন্যই স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভাইরাস এবং বিজেপি দুটি যে সমকক্ষ, সেকথাই বুঝিয়েছেন তৃণমূল নেতা দুলাল রায়। অন্যদিকে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোলপুরের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি আবার পাল্টা তৃণমূলকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি এই ব্যাপক দলবদলের কারণ হিসেবে তিনি তৃণমূলের রাজনৈতিক হিংসাকে দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, বিজেপির সাধারণ কর্মীদের ওপর যেভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল, সেই ভয়ে তাঁরা তৃণমূল যাচ্ছে নিজেদের রক্ষা করতে। রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে অবশ্য গেরুয়া শিবির দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব। বিভিন্ন জায়গায় তার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে প্রতিদিন প্রায় রাজ্যের সর্বত্র গেরুয়া শিবিরের ভাঙন চলছে, তাতে অচিরেই সংগঠন ভেঙে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির আগামী পদক্ষেপ কি হবে, ভাঙন আটকানোর জন্য এখন সেদিকেই থাকবে নজর। আপনার মতামত জানান -