এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিকে চাপে রাখতে ঐক্যবদ্ধ হতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব, অস্বস্তি দাপুটে নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে

বিজেপিকে চাপে রাখতে ঐক্যবদ্ধ হতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব, অস্বস্তি দাপুটে নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে

 

লোকসভায় ঐক্যবদ্ধতা না থাকার জন্য অনেক জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই যে প্রার্থীরা হেরেছেন, তা তৃণমূলের ফলাফল পর্যালোচনায় উঠে এসেছিল। তবে সেই শৃঙ্খলাকে ফিরিয়ে আনতে এবং দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কমাতে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল তৃণমূল। আর তাইতো লোকসভার মত আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যাতে সেই গোষ্ঠী কোন্দলে ফলাফল খারাপ না হয় এবং বিজেপিকেও চাপে রাখা যায়, তার জন্য আলিপুরদুয়ার রাসমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছিল তারা।

অনেকে বলেছিলেন, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী গোষ্ঠীর উদ্যোগে ডুয়ার্স উৎসবকে টেক্কা দিতেই আলিপুরদুয়ার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাবাড়ি রাসমেলার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে সমস্ত দ্বন্দ্বকে সরিয়ে রেখে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাবাড়ি রাসমেলার উদ্বোধনে শাসক দলের সমর্থনে নেতাকে একমঞ্চে দেখা গেল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের এই রাসমেলায় অনুপস্থিত থেকে শাসকদলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিলেন পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা টাউন তৃণমূল ব্লক সভাপতি আশিস দত্ত।

বস্তুত, গত 73 বছর ধরে এই রাস মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এদিন ফিতে কেটে প্রদীপ জ্বালিয়ে তার উদ্বোধন করেন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে সৌরভ চক্রবর্তী এবং তার অনুগামীদের দখলেই এই উৎসব ছিল। যেখানে কার্যত কোণঠাসা হয়ে ছিলেন বর্তমান জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, জহর মজুমদার এবং দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়রা।

তবে এদিন সকলেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে একতার বার্তা দিলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু কেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না প্রাক্তন তৃণমূলের সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার পৌরসভার চেয়ারম্যান আশিস দত্ত! এখন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আশিসবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে তো মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ না জানালে অনুষ্ঠানে যাই কি করে!” এদিকে রাসমেলা বনাম ডুয়ার্স কমিটির উৎসব নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ কমাতেই সকল নেতারা এক মঞ্চে হাজির হলেন বলে যখন দাবি করছে বিভিন্ন মহল, ঠিক তখন সেই ব্যাপারে অন্য সুর শোনা গেছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়।

এদিন এই প্রসঙ্গে দুর্গাবাড়ি রাসমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডুয়ার্স উৎসবকে টেক্কা দেওয়ার জন্য দুর্গাবাড়ি রাসমেলা নয়। এসব অপপ্রচার। তবে আশিসবাবু কেন এলেন না, তা বলতে পারব না। উৎসব কমিটি সবার কাছেই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে।”

একইভাবে এই প্রসঙ্গে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ডুয়ার্স উৎসবের সঙ্গে রাসমেলার কোনো প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। এসব অপপ্রচার।” কিন্তু দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় থেকে সৌরভ চক্রবর্তী যে কথাই বলুক না কেন, উৎসবের মরসুমে তারা নিজেদের একতা ধরা দিলেন ঠিকই। কিন্তু তার মাঝখানে এদিন ফাঁকফোকর বেরিয়ে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

যার কারণ হিসেবে প্রাক্তন টাউন সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্তর অনুপস্থিতি তৃণমূলের ছবিটাকে কিছুটা হলেও ভেস্তে দিল বলে দাবি একাংশের। আর বহু চেষ্টা করেও নিজেদের কোন্দল ধামাচাপা দিতে চাইলেও তৃণমূল তা আটকাতে পারল না। যা শাসকদলের কাছে অস্বস্তি হিসেবে থেকেই গেল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!