এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিকে হঠাতে জাতীয় রাজনীতিতে আগামী এক সপ্তাহে বড় পদক্ষেপ তৃণমূল নেত্রীর

বিজেপিকে হঠাতে জাতীয় রাজনীতিতে আগামী এক সপ্তাহে বড় পদক্ষেপ তৃণমূল নেত্রীর


২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কে কেন্দ্র থেকে হটাতে অনেক আগে ফেডারেল ফ্রন্টের ডাক দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন অন্যান্য বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে বিজেপি-‌র বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি জোট করার জন্য তৈরি হচ্ছে। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলতে ১৯ নভেম্বর কলকাতায় আসছেন।

এছাড়া, ২২ নভেম্বর দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির ডাকা সম্মেলনে প্রথমে উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানালেও পরে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান মমতা ব্যানার্জি। এ প্রসঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে এর আগেও মমতা কথা বলেছেন। সমস্ত বিরোধী দলের সামনে এখন লক্ষ্য একটাই, ২০১৯-‌এ বিজেপি-কে পরাজিত করা।

বিজেপি-কে হটাতে মমতা আগেই ফেডারেল ফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “‌প্রতিটি রাজ্যেই একের বিরুদ্ধে এক লড়াই করলে বিজেপি-কে হারানো সম্ভব।”আর অনেকেই মমতার এই ফর্মুলা মেনে নিয়েছেন। এখন দেখা্র দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির ডাকা সম্মেলনে কী হয়, । নোটবন্দি, জিএসটি, সিবিআই ও নাগরিকপঞ্জি এইসব নিয়ে এমনিতেই বিজেপি কোণঠাসা হয়ে আছে। তার ওপর কর্নাটকের নির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপিকে আরো বেশি চাপে ফেলেছে। এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার একটাই স্লোগান- ‘‌২০১৯ বিজেপি হবে ফিনিশ’‌। একই স্লোগান দিয়ে তিনি নতুন বছরের ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী,এই সভাতেও বিরোধী দলের নেতাদের তিনি আমন্ত্রণ জানাবেন। ইতিমধ্যে চন্দ্রবাবু নাইডু মমতাকে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। নোট বন্দির দু’বছর হিসেবে প্রতিবাদ করে তিনি টুইট করেন, “দেশে কালো দিন শুরু হল। কালো টাকা ফেরত আসেনি।”পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি প্রশ্ন তোলেন,কাদের জন্য নোট বাতিল করা হয়েছিল? সোমবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।এমনকি বিজেপি-র রথকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‌ওটা ফাইভ স্টার হোটেল।

পাশাপাশি তিনি এদিন আরোও বলেন, “হিন্দিভাষীদের কাছ থেকে ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নেই বিজেপি-র।” নাগরিকপঞ্জি নিয়েও তিনি আক্রমণ করতে ছাড়েননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “‌অসম থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে।”

মঙ্গলবার ছটপুজো উপলক্ষে গঙ্গার দুটি ঘাট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মমতা – তক্তাঘাট ও দহিঘাট। সেখানে তিনি বলেন, “‌সব ধর্মের অনুষ্ঠানে আমি যাই। ১৯৮৫ সাল থেকে আমি ছটপুজোয় দহিঘাটে আসছি। সে-সময় ঘাটগুলির অবস্থা খারাপ ছিল। আমার সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে ঘাটের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। ছটপুজোয় না এলে আমার মন ভাল থাকে না। আমি কাউকে ছেড়ে একা থাকি না। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। এখানে একটাই পরিবার। বাংলা সাচ্চা হিন্দুস্থান।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্য ভাষাভাষীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে এখানে কেউ খারাপ ব্যবহার করে কি না?‌ আমার তো মনে হয় না। তাই আমরা সকলে একসঙ্গে থাকতে পারি। ‘আমরা টাকা চাই না। আমরা চাই শান্তি।‌”এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রামপেয়ারি রাম প্রমুখ।‌

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!