বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েতেও বিজেপির “ভয়ে” বোর্ড মিটিং করতে পারছে না তৃণমূল! উত্তাল উত্তরবঙ্গ উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য November 9, 2019 এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তারা। আর নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের এই করুণ ফলাফল আরও করুণ হয়েছে কোচবিহার জেলায়। যে পরিস্থিতি প্রবল হতাশাগ্রস্থ করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। কিছু কিছু ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, এই কোচবিহারে বিজেপির দাপটে তৃণমূলের নেতাদের ঠিকমত সংগঠন করা কার্যত ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে বলে দাবি একাংশের। আর এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই রকমই একটি অভিযোগ তোলা হল। জানা গেছে, শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির ভাঐরথানায় তৃণমূলের প্রধান অমল বর্মনের পক্ষ থেকে একটি বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রধানের ডাকা এই বোর্ড মিটিংয়ে কোনো পঞ্চায়েত সদস্য না আসায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির ভয়ে তাদের পঞ্চায়েত সদস্যরা এই মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। কিন্তু পাল্টা তৃণমূলের এই যুক্তির পেছনে অন্য কারণ তুলে ধরছে একাংশ। অনেকে বলছেন, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফসল। এর সঙ্গে বিজেপির কোন যোগ নেই। একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, যেখানে শাসকের ক্ষমতায় রয়েছে গেরুয়া শিবির, সেখানে বিজেপি লোকসভাতে ভালো ফল করে কিভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখানোর সাহস পাবে! তাহলে কি কোচবিহারে তৃণমূলের সংগঠন কার্যত তলানীতে! আর এই অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগেই এখন সরগরম কোচবিহার জেলা। কেন তার ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা এলেন না! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রধান অমল বর্মন বলেন, “আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের 16 জন সদস্য রয়েছেন। সমস্ত সদস্য তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কেউ দলবদল করেননি। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এলাকার উন্নয়ন করতে বিজেপির লোকজন বাধা দিচ্ছে। আমরা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের কাজে একটি রূপরেখা তৈরি করে মিটিং ডেকেছিলাম। বিজেপির লোকজন বাধা দিতে পারে ভেবে আমাদের পাঁচ সদস্য বিডিও অফিস থেকে সোজা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির লোকজন আমাদের সদস্যদের বাড়ির সামনে জমায়েত হয়েছিল। আমাদের কোনো সদস্যকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। তাই মিটিং বাতিল করতে হয়।” একই অভিযোগ করেছেন শীতলকুচি তৃণমূল নেতা সাহের আলি মিয়াও। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও বিজেপি অবশ্য সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, “ভাঐরথানায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। প্রধান নিজেই উপপ্রধানের কাছে খুশি নন। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে বনিবনা নেই। সেই কারনেই এই পঞ্চায়েত সদস্যরা বোর্ড মিটিংয়ে যাননি। আমাদের নামে অযথা এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।” আর এখানেই বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা না আসায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও যেখানে তৃণমূল শাসকদল, সেখানে বিজেপি কিভাবে এত বড় সাহস পেল! তাহলে কি এটা ধরে নিতে হবে যে, কোচবিহার জেলায় বিজেপির সংগঠন দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে! যা তৃণমূলকে মাত দেওয়ার জন্য যথেষ্ট! নাকি তৃণমূল শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলকে ঢাকতে চাইছে! এই সমস্ত প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অন্দরমহলে। আপনার মতামত জানান -