এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হারা তো দূরের কথা বিজেপির ‘সবথেকে সম্ভাবনাময়’ আসনেও ন্যূনতম ২ লক্ষ ভোটে জিততে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

হারা তো দূরের কথা বিজেপির ‘সবথেকে সম্ভাবনাময়’ আসনেও ন্যূনতম ২ লক্ষ ভোটে জিততে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে জোড়াফুলের প্লাবনে বিরোধীরা ভেসে যাবে। রেকর্ড পরিমান আসনে জয় হবে তৃণমূলের,এমনটাই দফায় দফায় দাবী করে আসছে রাজ্যের শাসকদল। রেকর্ড বলছে, গত লোকসভা ভোটে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বিজেপির জোট থাকা সত্ত্বেও আলিপুরদুয়ারে লোকসভা কেন্দ্র ২৪ হাজার আসন দখলে ছিল তৃণমূলের। আর এবার তো মোচার বিমলপন্থী শিবির ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।

আর বিনয় তমাং তো তৃণমূলের পক্ষেই রয়েছে৷ কাজেই বিজেপির সবথেকে সম্ভাবনাময় আসন আলিপুরদুয়ারের লিড পেতে তেমন বেগ পেতে হবে না তৃণমূলের,এমনটাই মনে করছেন শাসকদলের বিশেষজ্ঞরা। আর তাই এই কেন্দ্রে দু লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে পরাস্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে তৃণমূল।

আর এই লক্ষ্যে পৌছানোর অভিপ্রায়ে এখন থেকেই চা বাগানের বুথগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। চা বলয়ের ব্লকগুলির পর্যবেক্ষকদের এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই লোকসভা কেন্দ্রে মাদারিহাট, আলিপুরদুয়ার, কুমারগ্রাম, কালচিনি, ফালাকাটা, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ও জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। আর মোট বুথ রয়েছে ১৮০০টি। এগুলির সিংহভাগই চা বলয়ের মধ্যে পড়েছে।

গত শনিবার ফালাকাটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সভা করার পরই সেই একই মাঠে পাল্টা সভা করে বিজেপিকে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করে তৃণমূল। তারপর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির নিয়ে বৈঠকও হয় তৃণমূল জেলা কোর কমিটির। সেই বৈঠকেই আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির থেকে ২ লক্ষ ভোটের ফারাকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়। এজন্যেই ব্লক পর্যবেক্ষকদের দিয়ে প্রতিটি বুথের কর্মী-সমর্থকদের বার্তা পাঠানো হয়।

এরপরই প্রতিটি চা বলয়ের বুথে রাজ্যসরকারের বিভিন্ন জনস্বার্থমুখী প্রকল্পের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। প্রচারে ব্যবহার করা হয় রাজ্যসরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মসূচিকে। জেলা তৃণমূল সভাপতি মোহন শর্মা বলেন,’দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ নজর আছে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রটির দিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁকে আমরা কথা দিয়েছি আমরা দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতব। সেই লক্ষ্যেই আমরা ঝাঁপাচ্ছি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাজ ও তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।’ তিনি আরো জানান,জেলার প্রতিটি চা বাগানেই বিজেপির তুলনায় তৃণমূলের সংগঠন মজবুত। এছাড়া তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা দলের কুমারগ্রাম ব্লকের অবজার্ভার মৃদুল গোস্বামী বলেন,’দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিততে প্রতিটি বুথে পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও লিড বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে।’

প্রসঙ্গত,মাদারিহাট বিধানসভা আসনটি বিজেপির দখলে থাকলেও গত পঞ্চায়েত ভোটে ১৭ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল তৃণমূল। এছাড়া কুমারগ্রামে ১২ হাজার,তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২২ হাজার,আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে ৩২ হাজার লিড পেয়েছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটে সেই টার্গেটকে আরো দ্বিগুন করতে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পঞ্চায়েত ভোটে কালচিনিতে তৃণমূলের লিড ছিল ১১ হাজার ভোটের।

সেই লিডকে বাড়িয়েই ২০ হাজার টার্গের করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে লিড ছিল ৩০ হাজারের মতো। ফালাকাটায় ছিল ৯ হাজার। যেকোনো উপায়েই সেই লিডকে বাড়িয়ে ১৫-২০ হাজার করতে উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল। এখন লোকসভা ভোটে বিজেপিকে টেক্কা দিতে তৃণমূল তার লক্ষ্যে পৌছাতে পারে কিনা সেদিকেই চোখ থাকবে রাজনৈতিকমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!