এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুই বিধানসভায় বড়সড় ধাক্কা বিজেপির, খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে, চাপ বাড়ল বঙ্গ বিজেপির

দুই বিধানসভায় বড়সড় ধাক্কা বিজেপির, খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে, চাপ বাড়ল বঙ্গ বিজেপির

সদ্য ফল প্রকাশিত হয়েছে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের। অনেক এক্সিট পোলের তরফ থেকে দেখানো হয়েছিল দুই রাজ্যেই প্রায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বেশিরভাগ এক্সিট পোলের অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে যখন ফল প্রকাশিত হল, তখন দেখা গেল মহারাষ্ট্রে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গড়ার অবস্থায় নেই ভারতীয় জনতা পার্টি।

সেখানে এনডিএ হিসাবে বিজেপি-শিবসেনা জোট ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছলেও গতবারের তুলনায় অনেক আসন কমে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, 288 আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টি- শিবসেনা জোট পেয়েছে 160 টি আসন, অন্যদিকে ইউপিএ পেয়েছে 99 টি আসন এবং অন্যান্যরা পেয়েছে 29 টি আসন।

এখানে সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছলেও কিং মেকারের ভূমিকা পালন করবে শিবসেনা বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আর ইতিমধ্যেই শিবসেনা প্রমুখ উদ্ধব ঠাকরে ফিফটি-ফিফটি সমঝোতায় সরকার বানানোর কথা ঘোষণা করেছে। তাই আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন যথেষ্ট দরদাম কষে হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

অপরদিকে হরিয়ানায় ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছাতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। 90 আসনবিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে 40 টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে 31 টি আসন, জেজেপি পেয়েছে 10 টি আসন এবং অন্যান্যরা 9 টি আসন। কাজেই সংখ্যার নিরিখে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টিকে 6 টি আসন অন্য দলের কাছ থেকে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে জেজেপি কিং মেকারের ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাই ইতিমধ্যেই রাজনীতির অলিন্দে স্পষ্ট হয়ে গেছে, দুই রাজ্যেই ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছলেও জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে হরিয়ানায় এবার গতবারের তুলনায় ভালো ফল করার দাবি করলেও ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি।

আবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে সহযোগী শিবসেনার উপরে ভরসা করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তাই দুই রাজ্যের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কোনোরকম ম্যাজিক যে কাজ করেনি বিজেপির পক্ষে, সেই বিষয়ে একমত প্রায় সকল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার অবশ্য দুই রাজ্যের বিধানসভার এই ফল কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। কারণ 2021 এ যে বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গড়ার চিন্তা ধারা করছে, সর্বভারতীয় পেক্ষাপটে যদি সেই ভারতীয় জনতা পার্টির শক্তি কিছুটা খর্ব হয়ে যায়, তাহলে বাংলা দখলের স্বপ্নের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছুপা হতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলে মত বিশ্লেষকদের একাংশের।

এইখানে বলা যেতে পারে, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসন পেয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেললেও বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের দিক থেকে কিন্তু তৃণমূলকে পার করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। সেক্ষেত্রে তাদেরকে আরও অনেকগুলো বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে টক্কর দিতে হবে। আর তবেই রাজ্যে সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় আসনে জয়যুক্ত হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

কিন্তু যেখানে নিজেদের ক্ষমতায় থাকা মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানাতে গতবারের তুলনায় কম আসনে জয়যুক্ত হয়েছে পদ্মফুল শিবির, সেখানে আগে থেকেই কম আসনে এগিয়ে থাকা বাংলায় কি করে অভিষ্ট আসন লাভ করবে তারা? সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তবে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তিত্বের মতে, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেখানে এতদিন ক্ষমতায় ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই কিছুটা প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে যেহেতু বিজেপি বিরোধী দল। তাই এখানে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলে মত একাংশের।কিন্তু বিজেপির এই ফলাফলে খুশির চৌয়া তৃণমূল শিবিরে।

তাই দুই বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেও আগামী দিনের জন্য যদি তারা জোর কদমে প্রস্তুতি চালাতে পারে, তাহলে এই চাপ কিছুটা কম হয়ে আসতে পারে। এখন দুই রাজ্যের নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে কিছুটা আশা খুলল ভারতীয় জনতা পার্টির। আগামী দিনে তারা তাদের রণনীতি ঠিক কিভাবে স্থির করে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!