এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি-তৃণমূল গুলি-বোমার লড়াইয়ে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি, দিশেহারা পুলিশও

বিজেপি-তৃণমূল গুলি-বোমার লড়াইয়ে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি, দিশেহারা পুলিশও

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কখনও শাসক দল তৃণমূল আবার কখনও বা বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে প্রাণ যাচ্ছে উভয়পক্ষের অনেক নিচুতলার সাধারণ কর্মী সমর্থকদেরও। কিন্তু রাজনীতির লড়াইয়ের মাঝে শক্তি প্রদর্শনের লড়াই যেন কিছুতেই কমছে না বঙ্গ রাজনীতিতে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল বনাম বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার অন্তর্গত ভাঙিপাড়া এলাকা।

জানা গেছে, এদিন ন্যাজাট থানার হাটগাছি এলাকায় তৃণমূলের একটি মিটিং থাকায় তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করে ভাঙ্গিপাড়া এলাকায় যান। আর এরপরই লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন, তাঁদের উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার জেরেই শুরু হয় গন্ডগোল। তৃণমূল বনাম বিজেপির এই সংঘর্ষে ব্যাপক গুলি ও বোমার লড়াই শুরু হয়। তৃনমূলের দাবি, এই ঘটনায় তাদের এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তাদের অনেক কর্মী-সমর্থকদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ জানায় বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোট মেটার পরও এলাকায় এইরকম সংঘর্ষের পরিস্থিতির মত ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কে এলাকাবাসী। কেন এরকম ঘটনা ঘটছে? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “হাটগাছি এলাকায় আমাদের একটি বুথ মিটিং ছিল। সেখানেই বিজেপির লোকজন হামলা চালায়। আমাদের কায়েম মোল্লা নামে এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে। বিজেপি বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে এই খুন করেছে।”

এদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের মিটিং থেকেই আমাদের কর্মীদের বাড়িতে প্রথম হামলা হয়েছে। আমাদের একজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কি পরিস্থিতি কিছুই বুঝতে পারছি না। পুলিশ সুপারকে বলেছি যেন অবিলম্বে এই এলাকায় পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়।” এদিকে এদিন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সময় পুলিশের কোনো দেখা না মেলায় তাদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে নিমতার পর এবার হাটগাছিতে তৃণমূল বনাম বিজেপির বোমা,গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত এলাকা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!