এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় কর্মী খুনে ফুঁসছে বিজেপি! তৃণমূল কাউন্সিলরের বাইকই পুড়িয়ে দিল প্রতিবাদে!

দলীয় কর্মী খুনে ফুঁসছে বিজেপি! তৃণমূল কাউন্সিলরের বাইকই পুড়িয়ে দিল প্রতিবাদে!

 

প্রায় তিন দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বিজেপি কর্মী আমির আলি খানের খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে আরামবাগ। বস্তুত, গত রবিবার সকালে আরামবাগের কালিপুর চৌমাথায় আমীর আলি খান নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। যার পর থেকেই এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। আর এই খুনের ঘটনার পর থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরাই জড়িত।

যার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর এবং সোমবার রাতে তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ বারিকের মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠায় এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। অভিযোগ, গত সোমবার গভীর রাতে 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ বারিকের বাড়ি থেকে তার মোটর বাইক নিয়ে গিয়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তা পুড়িয়ে দেয়।

যাকে ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তীব্র উত্তেজনা শুরু হয় আরামবাগে। বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও কেন বিজেপি সেই তৃণমূল কাউন্সিলরের মোটরবাইক পুড়িয়ে দিল! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজেশ চৌধুরী বলেন, “এই ঘটনা কোনো রাজনৈতিক হিংসা থেকে হয়নি। প্রশাসনের কাছে আমরাও দাবি জানিয়েছিলাম, যাতে দোষীরা শাস্তি পায়। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিজেপি হিংসা চালাচ্ছে‌। আমাদের পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাউন্সিলারের মোটরবাইক রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে সবসময় আছি।”

এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাইক পুড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আরামবাগ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “বাইক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। এলাকার উত্তেজিত মানুষ তৃণমূলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এমনটা করেছেন বলে মনে হয়।” তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাইক পুড়িয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তার পেছনে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর উস্কানিমূলক মন্তব্য রয়েছে বলে দাবি সমালোচকদের।

তাদের বক্তব্য, কিছুদিন আগেই এই এলাকায় এসে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সায়ন্তন বসু। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের একটি বাড়ি আস্ত রাখা হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর নেতার এই বক্তব্যে কিছুটা উজ্জীবিত হয়ে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কাউন্সিলরের মোটরবাইক পুড়িয়ে দিলেন বলে সোচ্চার হতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষীরা শাস্তি পাক আমরাও চাই। তবে বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক মুনাফা তোলার চেষ্টা করছে।” এদিকে এই ব্যাপারে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি হোসেন আলি বলেন, “আমরা দলের তরফে সব সময় এই অসহায় পরিবারের পাশে আছি।”

কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে আরামবাগে বিজেপি কর্মী খুনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে প্রতিদিন যে এই এলাকা রণক্ষেত্রের আকার নিচ্ছে, তা বন্ধ করতে পুলিশ ঠিক কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!