এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উপনির্বাচনের ফল সামনে আসতেই হাওড়া-হুগলি জুড়ে তীব্র হল তৃণমূল- বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ

উপনির্বাচনের ফল সামনে আসতেই হাওড়া-হুগলি জুড়ে তীব্র হল তৃণমূল- বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ

বিগত লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রায় বহুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলেছে। কখনও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, আবার কখনও বা বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। তবে সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের 3 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ায় তার ফলাফল ঘোষিত হলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেছিল অনেকে। কিন্তু সকলের সেই আশ্বস্তবাণীকে কার্যত মিথ্যে করে দিয়ে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ চোখে পড়ল।

হাওড়া থেকে হুগলি তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। বস্তুত, কিছুদিন আগেই রাজবলহাটের এক বিজেপি কর্মীর সাথে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হয় তৃণমূলের। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী প্রশান্ত মালিকে কেন এইভাবে মারা হল, তার সুবিচার চাইতে স্থানীয় যুব মোর্চার নেতা দেবাশিস ঘোষের নেতৃত্বে একদল বিজেপি কর্মী তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে জবাব চাইতে আসে। আর এর পরই দু’পক্ষের প্রবল সংঘর্ষ হয়। জানা যায়, এই ঘটনায় বিজেপির র এবং তৃণমূলের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কিষান সাউ বলেন, “ভোটে জেতার খবর আসার পরেই আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে দফায় দফায় তৃণমূলীরা মারে। অভিযুক্তদের 24 ঘন্টার মধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারলে আমরা জঙ্গিপারা থানা ঘেরাও করব। শাসকদলের গণতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ বাংলার মানুষ দেখছে।” তবে বিজেপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “বিজেপি সদস্যরা এদিনের ফলাফলে হতাশ হয়ে পড়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর আরও বক্তব্য, “তারই রাগ আমাদের কর্মীদের উপরে গিয়ে পড়েছে। রাজবলহাটের ঘটনা সেই রাগের ফলেই ঘটেছে। আমাদের দুজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এই অরাজনৈতিক আচরণের নিন্দার ভাষা নেই।” এদিকে ফলাফল বেরোনোর পর হাওড়ার 6 নম্বর জাতীয় সড়কে বিজেপির গ্রামীণ শাখার জেলা অফিসের সামনে বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

একইভাবে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে পান্ডুয়ার তেলিপাড়াতেও রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, তিনটে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভ করায় বিজয় মিছিল বের করলে সেই মিছিলে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায়। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকেই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আর উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এই শাসক-বিরোধী দুই দলের সংঘর্ষে এই ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে জনমানসে।

এই প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ বিজেপির সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, “নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে ভোটের ফল প্রকাশ হতেই আতশবাজির প্রদর্শনী করা হয়েছে। এটাকে চমকানো বলে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।” অন্যদিকে গোটা ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফসল বলে দাবি করেছেন হাওড়া গ্রামীণ তৃণমূলের সভাপতি পুলক রায়। তবে যে যাই দাবি করুক না কেন, আর যে দল যেভাবেই জিতুক না কেন, নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী অবস্থায় সন্ত্রাস নয়, এখন শান্তি চাইছেন আমজনতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!