এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিকে তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতার মন্ত্রী

বিজেপিকে তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতার মন্ত্রী

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল, মিটিংয়ের মধ্যে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে ঘাসফুল শিবির। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হওয়ার পর থেকেই যেভাবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে, তাতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের হুঁশিয়ারি জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, রাজ্যে যদি এভাবে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে শুরু করে, তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যেতে পারে। যদিও বা এখনও পর্যন্ত সেই রকম কোনো প্রক্রিয়া ঘটেনি।

তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া বা সরকার ফেলে দিলে তারা যে ছেড়ে কথা বলবেন না, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সোমবার বাঁকুড়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে এনআরসি, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর এই সভার আগে বাঁকুড়া শহরের হিন্দুস্কুল মাঠ থেকে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল।

যে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক অরুপ খাঁ, শম্পা দরিপা, স্বপন বাউড়ি সহ অন্যান্যরা। আর সেখানেই মিছিল শেষ করে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “এই মিছিল কোনো দেনাপাওনা ভোট বা সরকারকে ক্ষমতায় রাখার মিছিল নয়। এই মিছিল আমার প্রতিবেশী মানুষটিকে বাঁচানোর মিছিল। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এই কালা আইন বাতিল করব। না হলে লড়াই করে এই মাটিতেই প্রাণ দেব। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমেছেন। সবার প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিলেন। আর এখন দেশের 11 জন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতই ঘোষণা করেছেন যে, তাঁরা তাঁদের রাজ্যে এনআরসি আইন কার্যকর করতে দেবেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই তাদের সরকার ভেঙে যাওয়া নিয়ে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাস্তাই আমাদের রাস্তা দেখাবে। বিজেপি প্রতিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবেলা শাসাচ্ছে, সরকার ফেলে দেবে। আমি বাঁকুড়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলছি, আপনাদের যদি হিম্মত থাকে, তাহলে কালকেই সরকার ফেলে দেখান। আমরা আমাদেরটা দেখে নেব। আমরা বুঝে নেব, কত ধানে কত চাল।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্যের এহেন মন্তব্য ঘিরেই এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা।

এমন কি হল! যার জন্য তাদের সরকার ফেলে দেওয়ার আশঙ্কা করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত প্রবীণ রাজনীতিবিদ! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এদিকে এদিনের এই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সভা থেকে নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকেও কটাক্ষ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “এখনও দিনের আলো আছে। ওর নাম উচ্চারণ করলে অন্ধকার হয়ে যাবে। তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরক্ত করার জন্য লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। অথচ তিনি আমন্ত্রণ না পেয়ে একটা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে হাজির হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দেশটাকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, একবার ভাবুন। এখনও সময় আছে। নিজেদের হিসেব বুঝে নিন। আর দেশদ্রোহীদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দিন।” সব মিলিয়ে একাধিক ইস্যুতে বাঁকুড়ার মাটি থেকে বিজেপি বিরোধীতার সুর সপ্তমে চড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!