প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায় এই ঘটনায়। বিধানসভা নির্বাচনের যখন আর কয়েক মাস বাকি, ঠিক তখনই একজন জনপ্রতিনিধির এভাবে মৃত্যু রীতিমত তাক লাগিয়ে দেয় বঙ্গ রাজনীতিতে। তাহলে কি এই বিজেপি বিধায়ক আত্মহত্যা করে মারা গেলেন, নাকি এর পেছনে রয়েছে খুনের অভিযোগ! তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়।

ইতিমধ্যেই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বা প্রথম থেকেই গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের উপর জোর দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গোটা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে লাগাতারভাবে পথে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিধানসভার সদস্যের এইরকম মৃত্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি এবার তৃণমূলের অস্বস্তি ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্যজুড়ে বিজেপি থানা ঘেরাও কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর সেই কর্মসূচিতে বিধাননগর কমিশনারেটে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রীতিমত হুশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “আজকের এই আন্দোলন 2021 এর মহাকরণ অথবা নবান্নে গিয়ে থামবে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মনের ইচ্ছা, তাদের যে মনের কথা, সেটাই বলছি। এই রাজ্যে শাসনের যৌক্তিকতা এবং তাদের অধিকার দুটোই হারিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি এবং তার দল। এই বাংলাতে শাসন করার তাদের আর কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা বাংলাকে পরিবর্তন করব বলে ডাক দিয়েছিলেন। আর সেই বাংলা খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে।”

আর জয়প্রকাশবাবু বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে শামিল হয়ে যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। অনেকেই বলছেন, বিজেপির কাছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও নতুন নতুন অস্ত্র চাই। কেননা ইতিমধ্যেই দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

আর নিজের দলের বিধায়ক মৃত্যুর ঘটনার পরে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি আরও বেশি করে বাড়াতে চেষ্টা করবে তারা। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এবার বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের কথা বলে এই আন্দোলন শেষ করার কথা বললেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

অর্থাৎ তার এই কথাতেই স্পষ্ট যে, তারা এখন পাখির চোখ করে রেখেছে নবান্ন দখল। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি তাদের টার্গেট পূরণ করে তৃণমূলের অস্বস্তি কতটা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।