এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি সাংসদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ! জোর জল্পনা রাজ্যে!

বিজেপি সাংসদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ! জোর জল্পনা রাজ্যে!

মেলালিন তিনি মেলালেন। হ্যা, তৃণমূল এবং বিজেপির লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুই সাংসদকে এবার মিলিয়ে দিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাজনীতিতে তারা একে অপরের প্রবল বিরোধী। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু এবার বালুরঘাট শহরের থানা মোড়ে আয়োজিত রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গেল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান রাজ্যসভার সদস্যা অর্পিতা ঘোষকে।

বস্তুত, লকডাউন থাকার কারণে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে বালুরঘাট থানা মোড়ে রবি ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা। আর সেখানেই রবীঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে উপস্থিত হন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য অর্পিতা ঘোষ। অর্পিতাদেবী মালা দেওয়ার পর তিনি দেখতে পান অদূরেই দাঁড়িয়ে আছেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও তার অনুগামীরা।

রবি ঠাকুরের জন্মদিনে রাজনৈতিক সৌজন্যে সুকান্তবাবু এবং তার অনুগামীদের ডেকে নেন অর্পিতাদেবী। রবি ঠাকুরের মূর্তিতে সকলকে মালা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আর এতদিন অর্পিতা ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষ লক্ষ্য করলেও, এক লহমায় তা মুছে যাওয়ায় এখন রবি ঠাকুরকে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলছেন না বালুরঘাটের সংস্কৃতিপ্রেমী জনসাধারণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুই সাংসদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সৌজন্য বিনিময়ও হয়েছে। রবীঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এসে একে অপরের শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন দুজনেই। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যা অর্পিতা ঘোষ বলেন, “রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে নামার সময় দেখলাম সুকান্তবাবুরা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাই তাদের মাল্যদান করার আহ্বান জানাই। আমার সঙ্গে কারও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কারও একার নন। যিনি সবাইকে মিলিয়েছেন, তার জন্মদিনে রাজনীতি করা যায় না।”

একইভাবে এই বিষয়ে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা থানা মোড়ে এসে দেখি অর্পিতা ঘোষ রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করছেন। তাই আমরা অপেক্ষা করতে থাকি। তখন তিনি আমাদের ডাক দিয়ে মাল্যদান করার কথা বলেন। এরপর সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়। এই ধরনের সৌজন্য থাকা উচিত।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে অর্পিতা দেবীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বালুরঘাটের মানুষ বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখতে পছন্দ করেন। সেদিক থেকে বারবার বালুরঘাটের মাটিতে শাসক-বিরোধী তরজা, রাজনৈতিক বিভেদকে মান্যতা দেওয়া গত দেড়-দুই বছর ধরে দেখেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ। যা দেখে অনেক ক্ষেত্রেই তারা বিরক্ত অনুভব করেছে।

কিন্তু এবার জেলার মাটিতে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালনের সময় যেভাবে অর্পিতা ঘোষ বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে ডেকে এনে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার আহ্বান জানালেন, তা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সৌজন্যতাকেই বালুরঘাটের মাটিতে প্রতিষ্ঠা করল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

তবে এই নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে কেননা, এতদিন জেলা স্তরের কোনো নেতা বিজেপির কোনো নেতার সাথে একমঞ্চে উঠলে তাঁকে শো কজ করা হতো, অনেকে শাস্তিও পেয়েছেন বলে জানা গেছে, সেখানে অর্পিতা দেবীর এহেন আচরণে জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার। মুখ্যমন্ত্রী কি একে সৌজন্য বিনিময় বলেই মেনে নেবেন নাকি অর্পিতা ঘোষকেও দিতে হতে পারে এর জবাব জল্পনা তুঙ্গে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!