নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিজেপিতে বড় ভাঙ্গন, স্বস্তিতে তৃণমূল রাজ্য December 22, 2019 সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষ পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যার জেরে সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর এই আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে থেকে তার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করা হয় ইতিমধ্যেই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই আইন বাতিলের দাবিতে জোর আওয়াজ তুলেছে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি এই আইনের স্বপক্ষে পাল্টা প্রচার করতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মাঝে এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে সেই আইনের বিরুদ্ধে মতামত জানিয়ে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন একাধিক বিজেপির নেতা কর্মীরা। সূত্রের খবর, শৈলশহর দার্জিলিংয়ে এবার বিজেপি ত্যাগ করলেন সেখানকার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শান্তা কিশোর গুরুং। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অনিল শর্মা বিজেপি ত্যাগ করেন। সেখানে 105 জন পদাধিকারীর মধ্যে দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্তত 30 জন পদাধিকারীকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে দেখা যায়। এছাড়াও কালিম্পংয়ের বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মী দল ত্যাগ করেন। ছিলেন কার্শিয়াং জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরাও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই পাহাড়ে যেভাবে বিজেপি ছাড়তে দেখা যাচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের, তাতে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অনেকে বলছেন, এই আইনের বিরুদ্ধে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করছেন, তখন বিজেপি নেতা কর্মীরা তার স্বপক্ষে থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন। তবে বিজেপির সেই আন্দোলনে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়ে সেই আইনের বিরোধিতা করে বিজেপি নেতা কর্মীদের দলত্যাগ তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন পাইয়ে দিচ্ছে। আর এদিন পাহাড়ে শান্তা কিশোরের দল ছাড়া বিজেপির কাছে যে বড়সড় এফেক্ট, তা বলাই যায়। যদিও বা শান্তা কিশোরের এই দলত্যাগ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই ভারতীয় জনতা পার্টির। এদিন এই প্রসঙ্গে পাহাড়ের বিজেপির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, “লোকসভা নির্বাচন থেকেই শান্তা কিশোর সক্রিয় ছিলেন না। তাই তাকে তার পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়েননি। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভাব অনুভূত হবে না। পাহাড়ে বিজেপি অবিচ্ছিন্ন রয়েছে।” তবে বিজেপি সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, তৃণমূল এই আইনের বিরুদ্ধে যখন বিরোধিতা করছে, ঠিক তখনই বিজেপির অন্দরে এই ভাঙ্গন তৃণমূলের কাছে অনেকটাই যে উজ্জীবিত হওয়ার কারণ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন বিজেপি নিজেদের দলের ঐক্য অটুট রাখতে ঠিক কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -