এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় সংবাদমাধ্যমের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে? ঝড় তুলতে চলেছে গেরুয়া শিবির

বাংলায় সংবাদমাধ্যমের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে? ঝড় তুলতে চলেছে গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সংবাদমাধ্যম কোনো বক্তব্য প্রদান করলেই তাকে কাবু করতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আঘাত হানার কথা বারবার শোনা গেছে বিরোধীদের গলায়। আর এবার এই ঘটনাকে ইস্যু করে ময়দানে নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা গেছে, জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্য চাপার অভিযোগ রয়েছে। আর করোনা এবং অন্যান্য সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে এবার সরব হল গেরুয়া শিবির‌‌।

সূত্রের খবর, সোমবার ঝাড়গাম জেলা বিজেপির কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় সথপতি, বিজেপি সাংসদ কুণার হেমব্রম, জেলা পর্যবেক্ষক সুজিত অগাস্থি সহ অন্যান্যরা।‌ আর সেখানেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় সথপতি। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে করোনর সৎকার সংক্রান্ত একটি খবর মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন এক সাংবাদিক। পুলিশ থেকে তাকে ফোন করে ছবি মোছানো হয়েছে। আর এক সাংবাদিক সমাজ মাধ্যমে বনভূমিতে বসবাসকারী এক শবরের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ভিডিও প্রতিবেদন পোস্ট করেছিলেন।

সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে সেই ভিডিও মুছতে বাধ্য করেছে পুলিশ। সমাজের চতুর্থ স্তম্ভের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। জনবহুল এলাকার মধ্যে হাসপাতাল বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকার করা নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়নি। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! পুলিশ দিয়ে গায়ের জোরে যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণের কাজ হচ্ছে, এভাবে সামলানো সম্ভব নয়।” অর্থাৎ সত্য খবর পরিবেশন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের ওপর আঘাত আসছে বলে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে অভিযোগ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলায় এখন তৃণমূল এবং প্রশাসন যে যথেষ্ট বিপাকে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। বস্তুত, বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে নানা খবর নিয়ে তৃণমূলের দিক থেকে আঘাত এসেছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। আর এবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর আঘাতের ঘটনায় চরম বিপাকে পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত সাহা বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিজেপি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ থাকবে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হবেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা।

কিন্তু দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি সংবাদমাধ্যম এসে পড়ে এবং তার ফলে যদি কোনো একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ প্রতি আঘাতের ঘটনায়, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল নিঃসন্দেহে চাপে পড়বে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি এই ঘটনাকে ইস্যু করে তৃণমূলের বিড়ম্বনা কতটা বাড়িয়ে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!