এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা-আমপান নিয়ে “অযোগ্য” সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে চলেছে বিজেপি! তৃণমূলের ভরসা “মানুষ”

করোনা-আমপান নিয়ে “অযোগ্য” সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে চলেছে বিজেপি! তৃণমূলের ভরসা “মানুষ”


করোনা ভাইরাস রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে নানা বিষয় তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। এক্ষেত্রে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করা থেকে শুরু করে সঠিক পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে সরব হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর করোনা ভাইরাসকে সামাল দিতে গিয়ে যখন লাগাতার বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে, ঠিক তখনই রাজ্যে আছড়ে পড়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান।

যে ঝড়ে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে যায় কলকাতা এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা। রাস্তায় বড় বড় গাছ পড়ে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়। পরবর্তীতে সেনার সাহায্য নিয়ে সেই গাছ সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে এবার ময়দানে নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার একদিকে করোনা মোকাবিলায় এবং অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। যেখানে সেনাদের মূল কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “রাস্তা পরিষ্কার করতে সেনা যদি অসামান্য কাজ না করত, তাহলে কলকাতার বেশিরভাগ এলাকা এখনও অন্ধকারেই থাকত, এটা পরিষ্কার। তৃণমূল সরকারের অযোগ্যতা নাগরিকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরেই স্বপনবাবু বলেন, “এখন সময় একটা বিকল্প সরকারের জন্য তৈরি হওয়ার। যে সরকার কাজ করবে, লুট নয়। তৈরি হন 2021 এর জন্য।” জানা গেছে, 27 মে রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকার তাদের ক্ষমতার 9 বছর পূরণ করছে। তাই এই উপলক্ষে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয় দফা চার্জশিট পেশ করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নয়টি বিষয়কে তুলে ধরে জনমানসে নিজেদের বিস্তার ঘটাতে চাইছে তারা।

ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বাংলায় বিপর্যয় থেকে শুরু করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সরকারের দুর্বলতার দিকে তুলে ধরে ময়দানে নামার ব্যাপারেও সবুজসংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে 2021 কে টার্গেট করে একদিকে ভয়াবহ দুর্যোগ এবং একদিকে করোনা মোকাবিলায় তৃণমূল সরকারের দুর্বলতার ব্যাপারটি তুলে ধরে তৃণমূলকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করা হলেও, তা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে শাসক দল।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “করোনা প্রতিরোধে অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে পাঁচ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে জীবনহানি যথাসম্ভব এড়ানো গিয়েছে। এগুলোকে ব্যর্থতা বলে? দেশ রাজ্য এবং মানুষের প্রতি কোনো অনুভূতি, দায়বদ্ধতা কিছুই বিজেপি নেতাদের নেই। পরপর দুর্যোগের সময় রাজনীতিতে এমন নিকৃষ্ট প্রচার কখনও দেখিনি।”

এরপরেই আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, “যখন মানুষকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন বাজি রেখে লড়ছেন, সেই সময় বিজেপি নেতারা কুর্সি দখলের ভাবনায় ব্যস্ত। মানুষই এর জবাব দেবেন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলার রাজনীতি এবার জমে উঠতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস এবং ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যেও একদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে ময়দানে নাম এবং অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে কটাক্ষ করা নিয়ে এবার রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!