দমদমে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যকে আক্রমণ ও মুকুল রায়ের গাড়ি ভাঙচুর ঘিরে বিজেপি-তৃণমূলের জোর চাপানউতোর নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 18, 2019 সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই এবার শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের আকার নিল দমদম নাগেরবাজার এলাকা। সূত্রের খবর, গতকাল রাত দশটার সময় নাগেরবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। আর এরপরই সেখানে গোপনে বাম বিজেপি বৈঠক হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও শমীক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাদের ঘেরাও করে রেখে তাদের গাড়ি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। তৃণমূলের অভিযোগ, একই জায়গায় বিজেপি মিলে বৈঠক করে নির্বাচনের আগে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্যরা যে গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন, সেখানে তারা একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বলে দাবি সেই গেস্ট হাউসের একটি ফ্ল্যাটের রাজু সরকার নামে এক ব্যক্তির। কিন্তু কোনো প্রমাণ না ছাড়াই কেন এইভাবে বিজেপির দুই নেতাকে ঘেরাও করে রেখে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করল তৃণমূল? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “আমি দেখিনি এটাকে করেছে। কয়েকজন লোক আমার গাড়ির দিকে এগিয়ে আসে ও ইট ছুঁড়তে থাকে। আমার ধারণা এটা কোনো রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র। আমি পুলিশের কাছে যাব, সিসিটিভিতে নিশ্চয়ই যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তারা ধরা পড়বে। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভীত হয়ে পড়েছেন।” এদিকে মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্যদের ঘেরাও করে রাখা এবং তাদের গাড়ি ভাঙচুর করার পেছনে যখন তৃণমূলের দিকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, তখন এই ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “আসলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর বিজেপি নিজেরাই নিজেদের গাড়ি ভেঙে সমবেদনা আদায় করতে চাইছে। গোটা ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই হয়েছে।” তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি যাই বলুন না কেন, সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের আগে যেভাবে বিজেপির হেভিওয়েট দুই নেতার গাড়িতে আক্রমণ এবং তাদের ঘেরাও করে রাখার ঘটনা ঘটল সে যে এককথায় নজিরবিহীন তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছে সমস্ত মহলই। আপনার মতামত জানান -