এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি না তৃণমূল দ্বন্দ্ব কাটিয়ে অবশেষে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়?

বিজেপি না তৃণমূল দ্বন্দ্ব কাটিয়ে অবশেষে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর সেভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। একসময় কলকাতা পৌরসভার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রী থাকায় তিনি বিজেপিতে আসলে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবেন বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন ভাবে কিছুই হয়নি। যতদিন গিয়েছে, ততই ঘরে বসে থাকতে দেখা গেছে শোভনবাবুকে।

এমনকি মাঝে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল যে, যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়েছেন, সেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেতৃত্ব ঠিকভাবে মেনে না নেওয়ায় তিনিও সেভাবে বিজেপির কোনো কর্মসূচীতে অংশ নেননি। মাঝে শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়েছিল।

আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সাতদিন ব্যাপী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে ডাক পেলেন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। জানা গেছে, 23 থেকে 28 জুলাইয়ের মধ্যে যে কোনো একদিন দিল্লিতে যেতে পারেন এই বিজেপি নেতা। স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফরের খবর প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি এবার ধীরে ধীরে বিজেপিতে সক্রিয় হচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলের সঙ্গে যে মনোমালিন্য ছিল, তা মিটিয়ে নিয়ে তৃণমূলকে কুপোকাত করতে এবার বিজেপিকে থেকেই আরও বেশি করে লড়াই করতে চাইছেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের সঙ্গে আমাদের কোনদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল না। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল‌। এটা কোনো বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়।”

এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিওপিডির সমস্যার কারণে যদি তিনি 28 জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে না যেতে পারেন, তাহলে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকলেও দিল্লিতে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে জানানোয় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানকারী অনেককে বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন, তারা যদি চান, তাহলে তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে এতদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হলেও, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর চাইলে তৃণমূলে ফিরে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি যে তা করবেন না, তা বিজেপির এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো পরিষ্কার হয়ে গেল।

অনেকে বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় এতদিন নীরবে-নিভৃতে থেকে সমস্ত ব্যাপারটি মেপে নিচ্ছিলেন। এখন তার মনে হয়েছে যে, বর্তমান সময় আবার যদি তিনি দলবদল করে, তাহলে তার সম্পর্কে জনমানসে ভুল বার্তা যাবে। তাই ধীরে ধীরে বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার কথা ভাবছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির এই বৈঠকে তিনি অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দিল্লির বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায় অংশ নেওয়ার পর তার সঙ্গে যে সমস্যা বিজেপির তৈরি হয়েছিল, তা মেটে কিনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে কতটা সক্রিয় হন, তার দিকেই নজর থাকবে সমগ্র রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!