অনুব্রত গড়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ রণক্ষেত্র এলাকা, ব্যাপক বোমাবাজিতে গ্রেপ্তার বহু মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য November 25, 2018 এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়েও ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হলো শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধীদল বিজেপির মধ্যে। শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার কোট গ্রাম এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কোট গ্রামে প্রথমে সকলে শাসকদল তৃনমূলের সমর্থক থাকলেও বর্তমানে পারিবারিক দ্বন্দ্বে এখন সেখানে মাথাচাড়া দিয়েছে বিজেপিও। জানা গেছে, এইখানে একটি স্কুল করার জন্য গ্রামের বাসিন্দা সানোয়ার শেখের মা এক কাঠা জমি দান করেন। আর তখনই তাঁদেরই আত্মীয় তথা এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সায়রা বিবি সেই স্কুলে ঢোকার মুখে নিজের নামের একটি ফলক লাগিয়ে নেন। অন্যদিকে জমি দান করেও স্কুলের ফলকে সানোয়ারের মায়ের কোনো নাম না থাকায় শুরু হয় পরিবারের দ্বন্দ্ব। আর এরপরই সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোট গ্রাম থেকে তৃণমূলের টিকিটে সেই সায়েরা বিবির স্বামী নাসিম শেখ দাঁড়ালে অন্যদিকে নির্দল প্রার্থীর হয়ে সেখানে লড়েন সানোয়ারের স্ত্রী সুফিয়া বিবি। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এইখানে জয়ী হন সেই তৃণমূল প্রার্থী। এদিকে এর পরে এই পারিবারিক দ্বন্দ্বে কিছুটা ইতি পড়লেও সম্প্রতি দিন পনেরো আগে ১০০ দিনের কাজ ঘিরে ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করে এলাকা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বিজেপির অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের দলের কর্মীদের নাম ১০০ দিনের কাজ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। আর এরপরই গত শুক্রবার সকালে বিজেপির সানোয়ার সহ বেশ কয়েকজন কর্মী ১০০ দিনের কাজে বাধা দিলে প্রথমে বচসা ওপরে প্রবল হাতাহাতি শুরু হয় – চলে বোমাবাজিও। আর এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৭ জন জখম হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বিজেপির সানোয়ার ও তৃণমূল কর্মী তথা গ্রামের ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার লালচাঁদ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় কেউ বিরোধী থাকুক তা তৃণমূল চাইছেই না। তাই আমাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে”। পাল্টা বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করে এলাকা তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, “শান্ত গ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বিজেপিই। এতে আমাদের কোনো যোগ নেই”। সব মিলিয়ে এখন খোদ অনুব্রত মন্ডলের গড়েই তৃনমূল বনাম বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হওয়ায় আশঙ্কার প্রমাদ শুরু হয়েছে ঘাসফুল ও পদ্মফুল দুই শিবিরই। যা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -